ছবি: ঢাকা পোস্ট

জিতলে তিন পয়েন্ট, ড্র’তে এক ও হারে শূন্য। ফুটবল লিগে এমন পয়েন্ট ব্যবস্থা প্রায় সবখানেই। আসন্ন নারী ফুটবল লিগে এর ব্যতিক্রম দেখা যেতে পারে। বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল আসন্ন নারী ফুটবল লিগে অংশ নেবে। এই দল কোনো ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট যোগ হবে না। আবার প্রতিপক্ষ দল জিতলে তাদের পয়েন্ট ঠিকই যোগ হবে। 

আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে’র নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের লিগে অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলেন, ‘সামনে সাফ ও এএফসি’র অনূর্ধ্ব-১৭ অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে। আমাদের মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির মধ্যে রাখতে লিগে খেলবে। তবে ওরা জিতলে সেই পয়েন্ট যোগ হবে না। ওদের প্রতিপক্ষ জিতলে পয়েন্ট যোগ হবে। অনূর্ধ্ব-১৭ দল যদি চ্যাম্পিয়ন হয়েও যায়, তাহলে দ্বিতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করা হবে। আবার অনূর্ধ্ব-১৭ দল সব ম্যাচ হারলেও রেলিগেশনে যাবে না।’ 

বাফুফে’র নির্বাহী সদস্যের এমন মন্তব্যের পর সাংবাদিকদের ক্রমাগত প্রশ্ন ছিল লিগের নিরপেক্ষতা, মান, পাতানো ম্যাচের সুযোগ সৃষ্টিসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান কয়েক দফা উত্তর দেওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বিষয়টি মধ্যস্থতা করেন। 

আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমরা মূলত আজ দশটি দলের নাম জানালাম। লিগের পদ্ধতি, পয়েন্ট ব্যবস্থা, বাইলজ নিয়ে আমরা আবার বসব। আমাদের নারী দলের খেলা প্রয়োজন। লিগে তাদেরকে কোন উপায়ে খেলালে সব দৃষ্টিকোণ থেকে সামঞ্জস্য হয়, সেটি আমরা বিবেচনা করে কিছু দিন পর আবার সংবাদ সম্মেলন করব।’

আগামী ২৭ মার্চ থেকে নারী ফুটবল লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা ফুটবল উইং। আসন্ন লিগে দশটি দল চূড়ান্ত করেছে মহিলা উইং। দশটি দল সম্পর্কে জানাতেই রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিল বাফুফে। সদ্য সমাপ্ত নারী ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে রয়েছে শেখ রাসেল, নাসরিন স্পোর্টস, কাচারীপাড়া একাদশ উন্নয়ন সংস্থা, কুমিল্লা ইউনাইটেড, আতাউর রহমান ভূঁইয়া স্পোর্টিং ক্লাব, সদ্য পুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব, এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কাচিঝুলি স্পোর্টিং ক্লাব ও বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৭ দল। 

কিংসে এবার জাতীয় দলের প্রায় সব নারী ফুটবলার চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। এক দলে জাতীয় দলের দশের অধিক ফুটবলার থাকলে লিগে ভারসাম্য থাকে না। বাফুফে পুলপ্রথা করার চিন্তা করলেও সেখান থেকে সরে এসেছে। কিরণ বলেন, ‘কোনো কোটা বা পুল থাকছে না। খেলোয়াড় ও ক্লাব উভয়ই মুক্ত। উভয় উভয়ের পছন্দ অনুযায়ী চুক্তি করতে পারবে। আমাদের জানামতে তিনটি ভালো দল হচ্ছে (কিংস, শেখ রাসেল ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া স্পোর্টিং ক্লাব)।’

নারী ফুটবল লিগ নিয়ে বাফুফেকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলো নারী লিগে আগ্রহী নয়। অপরিচিত ও নতুন দলগুলোর ওপরই ভরসা রাখতে হয় বাফুফের নারী কমিটিকে। এই প্রসঙ্গে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান কিরণ বলেন, ‘বড় ক্লাবগুলোর অনেক খেলা খেলতে হয়। পাশাপাশি নারীদের আবাসন, নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। তবে আমরা আগামীতে আশা করছি বড় ক্লাবগুলোও নারী দল গড়বে।’

এজেড/এটি/টিআইএস/এমএমজে