বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে আল জানোব স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ড আজ মুখোমুখি হয়েছিল ক্যামেরুনের। ব্রিল এমবোলোর জন্য দিনটা ছিল বিশেষ কিছু। ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে যে এবারই প্রথম তিনি খেলতে নামছিলেন তার নিজের জন্মভূমির বিপক্ষে! বিশেষ মুহূর্তটা এমবোলো রাঙালেন দারুণভাবেই, করলেন গোল। তার এই একমাত্র গোলেই আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে। 

শুরুর অর্ধে সুইসরা খেলেছে খাপছাড়া ফুটবল। সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশ যে করবেন, এমন কেউই ছিলেন না দলটির। শুরুর অর্ধে প্রতিপক্ষ গোলমুখে শট ছিল না একটিও। ওদিকে ক্যামেরুন গোলের সুযোগ তৈরি করেছে বেশ। প্রতিপক্ষ বক্সে স্ট্রাইকাররা একটু নিঃস্বার্থ হলে পেয়ে যেতে পারত গোলটাও। কিন্তু সেটা হয়নি বলেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ক্যামেরুন।

ম্যাচের এমন অচলাবস্থাটা ভাঙল দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে দ্বিতীয় সেরা হয়ে থাকা দল সুইজারল্যান্ড করে বসল গোল। এমবোলো সুইসদের হয়ে শেষ দুই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই করেছিলেন গোল। তিনি ভাঙলেন। আর সুযোগটা তৈরি করলেন কে? সুইসদের শেষ চার মেজর টুর্নামেন্টে ২৪ গোলের অর্ধেকেই আছে যার অবদান, সেই জের্দান শাকিরি।

তখন ম্যাচের বয়স ৪৮ মিনিট। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জের্দান শাকিরির ক্রস থেকে বড় সুযোগ পেয়ে যান এমবোলোকে। দারুণ এক ফিনিশে বলটা জড়ান ক্যামেরুনিয়ানদের জালে। 

গোলের পরই দেখা গেল দারুণ এক দৃশ্য। জন্মভূমির বিপক্ষে গোল করেছেন বলেই কি না, গোলটা উদযাপনই করলেন না এমবোলো। দুই হাত তুলে জানালেন প্রতিক্রিয়া, যেন গোলটা করে বড় অপরাধই করে ফেলেছেন।

এমন দৃশ্য সাধারণত দেখা যায় ক্লাব ফুটবলে, সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলে অনেক গোলদাতাই উদযাপনটা করেন এভাবে। আজ সে প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক ফুটবলেও টেনে আনলেন এমবোলো। 

তবে ক্যামেরুন হাল ছাড়েনি। সমতার জন্য মরিয়া হয়ে সুযোগ তৈরি করেছিল বেশ। কিন্তু শেষমেশ সমতা আর ফেরানো হয়নি তাদের। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে বিশ্বকাপটা শুরু করে সুইজারল্যান্ড।

এনইউ/এটি