মেসির সম্মেলনে কিছুক্ষণ
সংবাদ সম্মেলনের আধঘণ্টা আগে গেট উন্মুক্ত হয়। অন্য দিনের তুলনায় আজ সাংবাদিকদের ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি আসছেন ম্যাচ পূর্ববর্তী সম্মেলনে। তাই অনেক সাংবাদিক সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের টিকিট বাতিল করে মেইন প্রেস সেন্টারেই থেকেছেন।
আবার অনেকে ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচের কিছু অংশ দেখে মেসির সম্মেলন ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কেউ সফল হয়েছেন, আবার কেউ স্বল্প সময়ের ব্যবধানের জন্য দরজার বাইরেই অপেক্ষা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ধীর পায়ে সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চের দিকে হেটে আসছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বসেরা ফুটবলারের পা পড়তেই ক্যামেরার শাটারের শব্দে ভারি হলো সম্মেলন কক্ষ। মঞ্চের মাঝে বসে উপস্থিত সাংবাদিকদের হাত নাড়ালেন।
মিনিট পনেরোর সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি প্রশ্নই হয়েছে। অধিকাংশ প্রশ্নই আর্জেন্টাইন সাংবাদিকদের স্প্যানিশ ভাষাতেই ছিল। দু’টি প্রশ্ন ইংরেজীতে হলেও ফিফার ট্রান্সলেট অ্যাপের মাধ্যমে সেটার উত্তরও মেসি স্প্যানিশেই দিলেন বেশ।
মেসি কাতারে এসে প্রথমে অনুশীলন করেননি। এতে সন্দেহ জেগেছিল তিনি ইনজুরিতে কি না। সংবাদ সম্মেলনে সেটা অবশ্য পরিষ্কার করেছেন, ‘আমার কোনো ইনজুরি নেই। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি সম্পূর্ণ ফিট।’ আগামীকাল সৌদি আরবের বিপক্ষে মেসির অধিনায়কত্বেই নামছে আর্জেন্টিনা।
প্রথম ম্যাচটি জয় দিয়ে শুরু করতে বদ্ধ পরিকর এই ফুটবল জাদুকর, ‘আমরা এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে চাই। এর শুরুটা আগামীকাল জয় দিয়েই করতে চাই’।
সারা বিশ্বের মতো কাতারেও মেসির অসংখ্য সমর্থক। অনেক কাতারী ও কাতারের প্রবাসী যারা রয়েছেন তাদের অনেকেই মেসির একনিষ্ঠ সমর্থক। এই বিশ্বকাপে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর প্রাণান্তর চেষ্টা করবেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি আমার সেরাটা দিয়ে খেলব। আমার সমর্থকরা যেন আর্জেন্টিনার সাফল্যে খুশি হতে পারে সেই চেষ্টাই করব।’
বয়সের বিচারে এটিই মেসির শেষ বিশ্বকাপ। বিষয়টি মানছেন এই কিংবদন্তী ফুটবলারও, ‘হ্যাঁ এটিই হয়তো আমার শেষ বিশ্বকাপ।’ আর্জেন্টিনার এই দলে অনেকেরই প্রথম বিশ্বকাপ। তরুণদের বিশ্বকাপ রোমাঞ্চে উদ্বেলিত করেছেন অধিনায়ক নিজেও, ‘বিশ্বকাপে খেলা দারুণ এক অভিজ্ঞতা। তরুণদের আমি বিশ্বকাপের জন্য অনুপ্রাণিত করেছি।’
ফিফার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জন্য সাংবাদিকদের হাত তুলতে হয়। এরপর মিডিয়া অফিসার একজনকে নির্বাচন করেন প্রশ্ন করার জন্য। মেসি যতক্ষণ সম্মেলনে ছিলেন কক্ষে থাকা প্রায় সব সাংবাদিকই প্রশ্ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
এজেড/এনইউ