রেফারিং নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। ফিফার রেফারিং কমিটির প্রধান সাবেক তারকা রেফারি পিয়ার লুইজ কলিনা নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত। হঠাৎ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রবেশ করলেন। তার আগমন অনির্ধারিত থাকলেও খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে রেফারিং নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।
 
প্রতি বিশ্বকাপেই আলোচনা-সমালোচনা থাকে। এবার কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই রেফারিদের আগলে রাখছেন ফিফা সভাপতি, ‘বিশ্বকাপে আমার যদি কোন দল থাকে সেটা রেফারি। আমি রেফারিদের দলেই। রেফারিরাই বিশ্বকাপের এক নম্বর দল।’ রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতি সকলকে সম্মান প্রদর্শন করতে বলে তিনি বলেন, ‘হয়তো কখনো মনে হবে সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় বা নিজের ইচ্ছের বিপক্ষে যাবে। রেফারিরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত নেন। এই পর্যায়ে যারা এসেছেন তারা সবাই সেরা রেফারি।’
 
ইনফান্তিনোর পাশে বসা কলিনা রেফারিকে বিশ্বকাপের ৩৩ তম দল হিসেবে মনে করেন, ‘বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি  বিশ্বকাপে দল ৩৩ টি। ৩৩ তম দলটি রেফারিদের।’ ৪৬ টি দেশের ১২৯ জন রেফারি এই  বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৬ জন নারী। 

তিন জন রেফারি ও তিন জন সহকারী নারী রেফারি রয়েছেন এই  বিশ্বকাপে। এই সংখ্যা নির্ধারণের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কলিনা বলেন, ‘আমরা কোনো কোটা বা সংখ্যা নির্দিষ্ট করে নির্বাচন করিনি। সকল কিছু বিবেচনার পর তিন জনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। যদি সংখ্যাটা ২০ হতো তখন আপনি আবার বলতেন ২১ বা ১৯ না হয়ে ২০ কেন।’

নারীরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাঁশি বাজাবেন ও পতাকা হাতে লাইনে দৌড়াবেন। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী মুসলিম দেশগুলোর ম্যাচে নারী রেফারি থাকবে কিনা এ নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাবেক এই তারকা ফিফা রেফারিকে, ‘আমাদের এখানে রেফারিদের সেমিনার হয়েছে। আমরা বলেছি এখানে নারী হিসেবে নিজেদের আলাদা ভাবার কোনো কারণ নেই। যোগ্যতা দিয়েই এখানে সবাই জায়গা করে নিয়েছে। সবাই যে কোনো ম্যাচ করার জন্য যোগ্য ও প্রস্তুত। কোন দল এখানে বিষয় নয়।’

এবারের বিশ্বকাপে ফুটবলের নাম আল রিহলা। ম্যাচ বলের সঙ্গে থাকবে সেন্সর। এই সেন্সর অফ সাইড নির্ধারণে ভিএআরকে সাহায্য করবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৩২ দলের কোচকে নিয়ে সকল আইন বিষয়ক সেমিনারও করেছে ফিফার রেফারিজ কমিটি। 

এজেড/এনইআর