সুর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ছে। আধারের সঙ্গে আলোর লুকোচুরি খেলা চলছে। সেই সময়ও লুসাইল স্টেডিয়ামের সামনে নিজেকে ফ্রেমবন্দী করার প্রয়াস। 

বাহ্যিক দর্শনেই স্টেডিয়ামে চাকচিক্য স্পষ্ট। সোনালী রংয়ের স্টেডিয়ামটি দেখতে নৌকাকৃতির, যা দেখে আকৃষ্ট হবেন যে কোনো ক্রীড়ানুরাগীই। ফাইনালের এই ভেন্যু দেখতে কাতারের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন আসছে। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গন দূর থেকেই দেখে ক্ষান্ত হচ্ছেন আগতদের বেশিরভাগ মানুষ। ম্যাচের দিন টিকিট প্রাপ্তরাই শুধু স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশাধিকার পাবেন।

কাতার বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পর থেকেই লুসাইল শহর গড়ে তোলার প্রয়াস। রাজধানী দোহার উপকন্ঠে নতুন এই শহরে সর্বাধুনিক স্টেডিয়াম গড়ে তোলে কাতার। ৮০ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। 

দোহায় বসবাসকারী অনেক কাতারী ও প্রবাসীদের মতে, লুসাইল হচ্ছে নতুন কাতার। আধুনিকতার সঙ্গে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে এই শহর গড়ে তোলা হয়েছে। স্টেডিয়ামের সামনে রয়েছে অসংখ্য ক্যাফে রেস্টুরেন্ট। কাতারী, প্রবাসী অথবা আগত পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে বিকেলের পর থেকেই। 

তিন-চার বছরের শিশু কাতারের জার্সি পড়ে লুসাইল সিটিতে দৌড়াচ্ছে। তাদের আবার তাড়া করছে তাদের থেকে বয়সে একটু বড়রা। শিশুদের এই উন্মাদনা দুর থেকে দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন অভিভাবকরা। 

কেউ স্কেটিং করছেন, আবার কেউ ছোট বল নিয়ে ছুটছেন। কিছুক্ষণ পরপর বেজে ওঠা হায়া গানে দুলছেন অনেকে। লুসাইল শহর সন্ধ্যার পর থেকে এভাবেই জীবন্ত থাকে। 

এজেড/এনইআর