ছবি: ঢাকা পোস্ট

ভোট গ্রহণ চলছে। বাইরের হল রুমে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ দেখা গেল রিটার্নিং অফিসার একজন ভোটারের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। সেই ভোটার ছিলেন তারকা অভিনেতা জাহিদ হাসান। ছাইদ হাসান কানন মোহামেডানের স্বর্ণযুগের গোলরক্ষক। কাননকে দেখে জাহিদ বললেন, ‘কানন ভাই ছিলেন আমাদের চীনের প্রাচীর।’  

শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে জাহিদকে অনেকদিন পর পেয়ে সেলফি তুললেন কানন-কায়সার হামিদরা। বাংলার ম্যারাডোনা খ্যাত সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বিরকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেন জাহিদ হাসান, ‘সাব্বির ভাইয়ের পায়ে বল গেলে বিশেষ সুখ অনুভব করতাম। সাব্বির ভাই বল নিয়ে যেভাবে দৌড়াতেন তা এখনো মনে পড়ে।’  

আশি-নব্বই দশকে ক্লাব ফুটবলে সমর্থকদের খেলা দেখতে এসে অনেক মজার ও বিড়ম্বনার ঘটনা রয়েছে। জাহিদ হাসান ছিলেন মোহামেডানের পাড় সমর্থক। অন্য গ্যালারিতে গিয়ে একদিন ভিন্ন অভিজ্ঞতার শিকারও হয়েছিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেতা, ‘ভুল করে অন্য গ্যালারিতে গিয়েছিলাম। মোহামেডানের গোলের পর খুব খুশি হয়েছিলাম। পরে কোনো মতো নিজেকে সংযত করেছিলাম।’  

সেই মোহামেডান ও ফুটবল নেই, এটা খুব পীড়া দেয় জাহিদকে, ‘আমি গ্রামের ছেলে, আমাদের সময়ে ফুটবলই ছিল সবচেয়ে বড় বিনোদন। ফুটবলের আগের সেই অবস্থা কেন নেই, জনপ্রিয়তা কেন কমল সেই আলোচনার দরকার নেই। মোহামেডানের আগের অবস্থায় ফিরুক সেই কামনা করি।’

মোহামেডান ক্লাবের এই নির্বাচনে অভিনেতা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভোট দিতে এসেছেন। পুলিশের আইজিপি, সাবেক সেনাপ্রধান, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিল্পপতি সহ আরও অনেকে শনিবার (৬ মার্চ) মোহামেডানের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

এজেড/এটি/টিআইএস