বৈশ্বিক মিডিয়ায় মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর চিত্র অনেকটাই বিতর্কিত। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এ দেশগুলোকে অনেকটা যুদ্ধ-সংঘাতে জর্জরিত অঞ্চল হিসেবেই চিত্রায়িত করা হয়। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারও আছে সেই তালিকায়। তবে আয়োজক কমিটি মনে করে, এই বিশ্বকাপই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাতারের চেহারা বদলে দেবে। 

মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ব আসরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও নাসের আল খাতার। গুরুদায়িত্ব সামলানো এ সংগঠকের মুখেও শোনা গেল পশ্চিমা গণমাধ্যম নিয়ে আক্ষেপের কথা। জানালেন, এবারের বিশ্বকাপেই সে চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বিশ্বব্যাপী মানুষের সামনে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমরা কাতার বিরোধী সংবাদপত্র এবং মিডিয়া সাইটগুলোর দিকে একটুও মনোযোগ দেইনি। আয়োজক হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই কাতার অনেক গণমাধ্যেমের দ্বারা প্রচারণার শিকার হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলো মনে করে এই টুর্নামেন্টের মধ্যেদিয়ে তাদের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করা হবে। তাই কিছু সমালোচনা হয়েছিল রাজনৈতিক ও বর্ণবাদী লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে। একটি আরব ও ইসলামিক দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে, এটার কোনো গ্রহনযোগ্যতাই ছিল না তাদের কাছে। মিডিয়া কিংবা আইনি স্তরে কাতার সেসব সমালোচনার মোকাবেলা করেছে।’ 

আগামী ২০ নভেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে কাতারের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের এ বিশ্ব আসরের পর্দা নামবে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ। 

এনইআর