ছাদখোলা ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাসে চড়ে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে যাচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা

ছাদখোলা বাসের আক্ষেপ মিটে গেছে। সেই বাসে চড়েই বাফুফের পথে এখন ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন’ সাবিনা খাতুনরা। ট্রফি নিয়ে বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সাবিনা খাতুনদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি। এবার বাফুফেতে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বরণ করে নেওয়ার পালা।

বুধবার বিমান বন্দর থেকে বের হওয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি ট্রফি উঁচিয়ে বলেছেন, ‘এই ট্রফি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের। সকলকে ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দরভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য। আমরা কৃতজ্ঞ। যদি চার-পাঁচ বছরের পরিশ্রম দেখেন তাহলে দেখবেন সেটার ফল এখন হাতে আছে।’

বিআরটিসির দ্বিতল বাসের ছাদ ফেলে দিয়ে সানজিদা-সাবিনা খাতুনদের জন্য ‘ছাদখোলা’ বাসে চড়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঁচিয়ে ধরার আশা পূরণ করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। 

বিমানবন্দর থেকে সেই ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে পর্যন্ত যাবেন সাবিনারা।

বাসের রুট ঠিক হয়েছে- বিমানবন্দর থেকে কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, পিএম অফিস, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল হয়ে বাফুফে ভবন।

বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির একটি অংশ। 

সেখানে প্রতিমন্ত্রী রাসেল নারী ফুটবলারদের নিয়ে একটি কেক কাটেন এবং সবার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

এদিকে সাফজয়ী মেয়েদের বরণ করে নিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। তারা সাবিনা-কৃষ্ণাদের নাম ধরে শ্লোগান দেন এবং শুভেচ্ছা জানান। 

সেখানে উপস্থিত হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) নারী ফুটবল দল। ওই দলের কোচ জয়া চাকমা বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার হিসেবে এটা আমার জন্য দারুণ মুহূর্ত। এই সাফে আমিও ছিলাম রেফারি হিসেবে।’

তিনি জানান, বিকেএসপির নারী ফুটবলাররাও আগামীতে সাবিনাদের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন।

বসুন্ধরা কিংসের জার্সি গায়ে এসেছেন অনেক সমর্থক। ক্রিকেটের সমর্থক টাইগার শোয়েবকেও দেখা গেছে সেখানে।

এনইউ/এটি