সবাই অনেক আনন্দ করেছি, কেউ নেচেছে-কেউ গেয়েছে
কাঠমান্ডুর অন্যতম অভিজাত হোটেল সোয়ালটি। সেই হোটেলে আছেন সাবিনারা। গতকাল সোমবার রাতে স্বপ্নের ট্রফি নিয়ে হোটেলে ফিরে আনন্দ-উৎসব করেছে বাংলাদেশ দল।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে ক্লান্ত থাকলেও রাতে হোটেলে ট্রফি উদযাপনে কোনো কমতি ছিল না সানজিদাদের।
বিজ্ঞাপন
আজ মঙ্গলবার সকালে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন কাঠমান্ডু থেকে ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘আমরা সবাই কাল অনেক আনন্দ করেছি। কেউ নেচেছে, কেউ গেয়েছে। আসলে এমন রাতে সবাই সবার মতো উপভোগ করেছে।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল খুব শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে। ক্যাম্প চলাকালে মুঠোফোনও তারা অনেক সময় ব্যবহার করতে পারেন না। সেই দলটি কাল কিছু সময়ের জন্য ছিল শৃঙ্খলমুক্ত, ‘আসলে আমরা কিছুটা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত আমরা ট্রফি উদযাপন করেছি।’
অধিনায়ক হওয়ায় অন্য সবার চেয়ে চাপ যেমন বেশি সাবিনার তেমনি অভিনন্দনও পাচ্ছেন সবার চেয়ে বেশি। সাতক্ষীরায় সাবিনার পরিবার, আত্মীয় স্বজন সবাই বেশ সম্মানিত, ‘কিছুক্ষণ আগে শুনলাম আমাদের বাড়িতে অনেক সাংবাদিক গিয়েছেন। জেলার অনেকে আমাদের বাড়িতে আসছেন’- বেশ গর্ব নিয়ে বলছিলেন সাবিনা।
আগামীকাল বুধবার সকালে কাঠমান্ডু ছাড়বে বাংলাদেশ। আজকের দিনটি হিমালয়ের দেশে কাটাবেন ফুটবলাররা। কিছুক্ষণ পর শপিংয়ে যাবেন মারিয়ারা, ‘মেয়েরা কিছু শপিং করতে চায়। আজ শপিংয়ে সময় কেটে যাবে। আমার কাছে ট্রিটও চাইছে।’
বাংলাদেশ দল আগামীকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে। এমন সফলতা পাওয়ার পর সরকারের কাছে সাবিনার চাওয়া, ‘মেয়েদের ফুটবলসহ অন্য খেলায় আরো সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হোক। তাহলে আমরা বাংলাদেশকে আরো বেশি সাফল্য এনে দিতে পারব।’
এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ দলে খেলছেন সাবিনা। দেশের বাইরে প্রথম বিদেশি লিগ খেলেছেন। বয়সভিত্তিক দলে কোচিংও করান। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের কিংবদন্তি পর্যায়ে পৌঁছেছেন তিনি। যদিও তিনি নিজেকে তেমন কিছু মনে করেন না, ‘আমি নিজেকে কিংবদন্তি নয়, মেয়েদের অনুপ্রেরণা হিসেবেই ভাবি।’
বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। এখনো খেলায় ইতি টানার ভাবনা নেই তার, ‘ফুটবল উপভোগ করছি, যতদিন ফিট আছি, খেলে যাব।’
এজেড/এটি/জেএস