ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ
বাঙালি ফুটবলপ্রেমী জাতি। ফুটবলের কোনো সাফল্যের উপলক্ষে পুরো দেশবাসী জেগে উঠে। বিকেলে বাংলাদেশ নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলবে। এই ফাইনালের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায় শুরু ম্যাচটি ইলেভেন স্পোর্টস অনলাইনে সরাসরি দেখা যাবে।
নেপালেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা অনেক। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে হাজার পনের দর্শক গ্যালারি থেকে সমর্থন দেবেন। গ্যালারিতে বাংলাদেশির সংখ্যা কম হলেও সাবিনাদের সমর্থন যে পুরো নেপালের চেয়ে কয়েকগুণ সেটা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন গতকাল রোববার প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, ‘১৮ কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।’
বিজ্ঞাপন
ছোটনের কথার প্রতিফলন আজ সোমবার সকাল থেকেই। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আজ শুধু সাবিনা-সানজিদাদের নিয়ে পোস্ট। নানা বয়স ও পেশার মানুষের দৃষ্টি থাকবে কাঠমান্ডুর দশরথে।
বাংলাদেশ দল এখনো আজকের ম্যাচে দ্বাদশ নিয়ে কাজ করছে। ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নার খানিকটা ইনজুরিতে রয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে খেলানোর সকল চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছুটা ব্যথা নিয়েও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে রাখার পরিকল্পনা। শামসুন্নাহার জুনিয়র তাত্ক্ষণিকভাবে নামার জন্য প্রস্তুত থাকবেন ম্যাচের প্রথম সেকেন্ড থেকেই। কাঠমান্ডুতে কয়েকদিন বৃষ্টি ছিল। আজ অবশ্য এখন পর্যন্ত রৌদ্রজ্জ্বোল আবহাওয়া। শুষ্ক মাঠে স্বাভাবিক ফুটবলের প্রত্যাশা দুই দলের।
সাফ নারী টুর্নামেন্টের বিগত সব আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার সেই ভারত বিহীন ফাইনাল হচ্ছে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। নেপাল বিগত সময়ে চার বার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি। বাংলাদেশের একমাত্র ফাইনালেও ছিল ভারত বাধা। তাই দুই নারী দলের সামনেই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের হাতছানি।
নেপালের বিপক্ষে সাবিনারা কখনো জেতেননি। ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের ট্রফি জিততে চান বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন,‘শেষ চারটি ম্যাচ মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। মানসিক ও ফিজিক্যালি ফিট ফাইনালের জন্য। দুদিন সময়ে ঠিখ করেছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। কারণ নেপাল খুবই শক্তিশালী দল; ফিজিক্যালি, টেকটিক্যালি।’
ইতিহাসের সামনে দাড়িয়ে সাবিনারা। এই ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের প্রতি অধিনায়কের বার্তা,‘আমি প্লেয়ারদেরকে একটি কথাই বলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে যে কোন কিছুই হতে পারে। তারা এখন বড় হয়েছে। তারা এখন গেম ধরতেও পারে। আমরা যেভাবে খেলে আসছি ম্যাচ বাই ম্যাচ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে শিরোপা জেতার।’
নেপালের অধিনায়কও শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর, ‘প্রথমবার ভারতের সঙ্গে জিতেছি। আমরা উপভোগ করেছি। আমরা কথা বলতে চাই না। মাঠের খেলাতেই প্রমাণ করতে চাই।’
সিনিয়রদের টুর্নামেন্টে না হলেও বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের শিরোপা জিতেছে কয়েকটি। ২০১৬ শিলিগুড়ি সাফের ফাইনাল খেলেছেন এমন ফুটবলার রয়েছেন এই স্কোয়াডে দশ জনের বেশি।
এজেড/এটি