সাবেক ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটিকে দারুণ এক জয়ই পাইয়ে দিয়েছেন আর্লিং ব্রাউট হালান্ড। করেছেন অবিশ্বাস্য এক গোল। সেই এক গোলে কোচ পেপ গার্দিওলার প্রশংসা তো কুড়িয়েছেনই, তাকে তার গুরু ইয়োহান ক্রুইফের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হালান্ড।

এতিহাদ স্টেডিয়ামে গত রাতে ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড গোলটি করেন নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে। জোয়াও ক্যানসেলোর ক্রসে লাফিয়ে উঠে পা দিয়ে গোল করেন হালান্ড। সেই এক গোলই ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে দেয় সিটির। 

এই গোলের প্রতিক্রিয়ায় সিটি কোচ বলেন, ‘কি এক গোল! আমার মনে আছে, অনেক বছর আগে বার্সেলোনায় ইয়োহান ক্রুইফ এমন একটা গোল করেছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। আর্লিং ইয়োহান ক্রুইফকে মনে করিয়ে দিয়েছে, বিষয়টা ভালোই।’

সিটি এই ম্যাচে এক গোলে পিছিয়েই গিয়েছিল। এরপর শেষ দশ মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচ পকেটে পুরেছে গার্দিওলার দল। বিষয়টা তার মোটেও পছন্দ নয়। বললেন, ‘শেষ কিছু দিনে এমনভাবে জেতা অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে আমাদের। আমার এটা পছন্দ হচ্ছে না।’

‘আমরা ভুল মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কোনো আগ্রাসন ছিল না, আমরা কর্মঠ ছিলাম না। পরিস্থিতিটা বদলাল যখন আমরা ফিল ফোডেন, বার্নার্ডো সিলভা আর ইউলিয়ান আলভারেজকে মাঠে আনলাম। আমরা আমাদের গতিতে পরিবর্তন এনেছিলাম, আর দুটো দারুণ গোল হলো।’

পিছিয়ে পড়া সিটিকে সমতায় ফিরিয়েছিল জন স্টোন্সের বক্সের বাইরে থেকে করা দারুণ এক গোল। তবে গার্দিওলা জানালেন, প্রথমার্ধের মতো ঢিমেতালে খেললে তিনিও এই গোলটা করতে পারতেন না ৮০ মিনিটে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমরা প্রথমার্ধে যেভাবে খেলছিলাম, তাতে জন স্টোনসের এই শট নেওয়ার সাহসটা হতোই না। আমাদের ছন্দ আর মোমেন্টাম ঠিক করার পরেই মনে হয়েছে এমন কিছু হতে যাচ্ছে। এটা ব্যতিক্রম কিছু ছিল। তার জন্য আমি আনন্দিত।’

‘তারা ব্যতিক্রম একটা দল। আমরা জানতাম বিষয়টা। আমরা খুব ভালো খেলিনি আজকে। তবে এই সহনশীলতা রাখাটাও ভালো। ইউলিয়ান আর আর্লিংকে বক্সে পাওয়াটা, হাতে বিকল্প থাকাটা দারুণ কাজে দেয়।’

এনইউ