ডাগআউটে চেলসি-টটেনহ্যাম কোচের হাতাহাতি, নিষিদ্ধ দু’জনেই
প্রিমিয়ার লিগের গেল মৌসুমে শীর্ষ চারের দুই চেলসি আর টটেনহ্যাম মুখোমুখি। বড় দুই দলের লড়াই উত্তাপ তো ছড়াবেই। ২-২ গোলের স্কোরলাইন বলছে, মাঠের খেলায় সেটা ছড়িয়েছেও দুই দল। তবে এই উত্তাপ ম্লান হয়ে গেছে দুই দলের কোচ থমাস টুখেল আর আন্তনিও কন্তের কাণ্ডে। ম্যাচ চলাকালে দুই কোচ জড়িয়ে পড়লেন হাতাহাতিতে, ম্যাচের পর আরেক দফা। যে কারণে দুই জনকেই পড়তে হয়েছে নিষেধাজ্ঞার কবলে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দুই দলই ম্যাচটা শুরু করেছিল ঢিমেতালে। তবে সময়ের সাথে সাথে চেলসি ম্যাচটায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে থাকা কোচের চার জনের মিডফিল্ড সাজানোর কৌশলে ভর করে। রাহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে ১৮তম মিনিটে কাই হ্যাভার্টজের শটটা ঠেকিয়ে কোনোক্রমে ঠেকান টটেনহ্যাম গোলরক্ষক উগো লরিস।
বিজ্ঞাপন
সেই কর্নার এগিয়ে যায় চেলসি। চলতি দলবদলে চেলসিতে পাড়ি জমানো মার্ক কুকুরেয়ার দারুণ কর্নার বক্সের বাইরের দিকে খুঁজে পায় ব্লুজদের আরেক নতুন রিক্রুট কালিদু কুলিবালিকে। তার দারুণ এক ভলি গিয়ে আছড়ে পড়ে স্পার্সদের জালে। প্রথমার্ধে সেই গোলের জবাব আর দিতে পারেনি সফরকারীরা।
জবাবটা আসে ৬৮তম মিনিটে। বেন ডেভিসের পাসে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করেন পিয়েরে এমিল হয়বিয়ের। ম্যাচের উত্তেজনার শুরু তখনই। গোলের উদযাপনে বেপরোয়া টটেনহ্যাম কোচ কন্তে কী ভেবে যেন ছুটে যান চেলসির ডাগআউটের দিকে। তার দিকে টুখেলও এগিয়ে আসেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই ডাগআউটে। এরপর দুই জনকেই দেখানো হয় হলুদ কার্ড।
চেলসি তাদের পরের গোল পায় ৭৬ মিনিটে। স্টার্লিংয়ের পাস থেকে রিস জেমসের করা গোলটিতে এগিয়ে গিয়ে যেন প্রতিশোধের নেশা চেপে বসে চেলসি কোচ টুখেলের মগজে। এবার তিনি ছুটে যান কন্তের সামনে দিয়ে।
নির্ধারিত সময়ে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা চেলসি যখন জয়ের প্রহর গুনছে, তখনই হ্যারি কেইন কেড়ে নিলেন আলো। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে কর্নার থেকে তার করা হেডে বল আছড়ে পড়ে স্বাগতিকদের জালে। ২-২ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে টটেনহ্যাম।
উত্তেজনা তখনো শেষ হয়ে যায়নি, বরং শেষ প্রস্থ বাকি ছিল। শেষ বাঁশির পর আবারও কথার লড়াই শুরু হয় কন্তে-টুখেলের, যা এক পর্যায়ে রূপ নেয় হাতাহাতিতে। শেষ পর্যন্ত দুই কোচই দেখেন লাল কার্ড। যার ফলে অন্তত এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জুটে গেছে দুই কোচের কপালে।
এনইউ