গেল মৌসুমের লিগ জেতা রিয়াল মাদ্রিদ চলতি মৌসুমটাও শুরু করেছিল উয়েফা সুপার কাপ জিতে। সেই রিয়ালকেই কি না সাত মৌসুম পর সেগুন্দা দিভিসিওন থেকে লা লিগায় উঠে আসা আলমেরিয়া হারের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল শুরুতে গোল করে! তবে রিয়াল এরপর ম্যাচে ফিরে এসেছে দারুণ লড়াকু মনোভাব নিয়ে। শেষমেশ ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয় তুলে নিয়ে লা লিগা ধরে রাখার মিশন শুরু করেছে কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা।

নিজেদের মাঠ এস্তাদিও মেদিতেররানিওতে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই রিয়ালকে থমকে দিয়ে এগিয়ে যায় আলমেরিয়া। গোলটি করেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড লারগি রামাজানি। 

প্রথমার্ধে এরপরের গল্পটা কেবল দলটির গোলরক্ষক ফেররান মার্তিনেজের। একে একে রিয়ালের চারটি চেষ্টা তিনি ফিরিয়ে দেন দারুণ নৈপুণ্যে। বিরতির আগে একবার অবশ্য রিয়াল আলমেরিয়ার জালে বল পাঠিয়েছিল। তবে সেবার লুকাস ভাসকেজ গোল পাননি অফসাইডের কাটায় পড়ে।

বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগই এসেছিল আলমেরিয়ার সামনে। উমার সাদিকের শটটা রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে না দিলে তখনই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে শিরোপাধারীরা। পরের মিনিটে মার্তিনেজও একটা দারুণ সেভ দিয়ে ১-১ সমতা ফেরানো থেকে রিয়ালকে বঞ্চিত রাখেন। কারিম বেনজেমার শটটা দারুণ দক্ষতায় ঠেকান তিনি। 

৬১ মিনিটে এসে অবশেষে রিয়াল সমতাসূচক গোলের দেখা পায়। সেই গোলটাও অবশ্য ফেরানোর দারুণ চেষ্টাই করেছিলেন মার্তিনেজ। ভিনিসিয়াসকে রুখে দিয়েছিলেন এগিয়ে এসে, তবে এরপর ফিরতি বলে বেনজেমার পাস থেকে প্রথমার্ধে গোলবঞ্চিত থাকা ভাসকেজকে অবশ্য ফেরাতে পারেননি আর। ১-১ সমতা ফেরায় রিয়াল মাদ্রিদ।

জয়সূচক গোলটা রিয়াল পেয়েছে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। ডেভিড আলাবার বাম পায়ের দারুণ এক ফ্রি কিকে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। সমতা ফেরানোর সুযোগ স্বাগতিকরা পেয়েছিল ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে। কুরো সানচেজের ফ্রি কিক বক্সের ভেতর খুঁজে পেয়েছিল রদ্রিগো এলিকে। তবে তার হেডারটার গন্তব্য হয়েছে সোজা কোর্তোয়ার কাছে, তাতে আলমেরিয়া আর সমতা ফেরাতে পারেনি। কাঙ্ক্ষিত জয় এসে ধরা দেয় রিয়ালের হাতে।

এনইউ