একসাথে ৭-৮ জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, আপত্তি করলেই মারধর
খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ। মাঠের ভেতরে হোক বা বাইরে, দল যখনই বিপদে, তখন তিনিই ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। সেই রায়ান গিগসই এখন পড়ে গেছেন বড় বিপদে। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন তার সাবেক বান্ধবী, জানিয়েছেন একসঙ্গে ৭-৮ জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন তিনি, আপত্তি করলেই করতেন মারধর।
এই অভিযোগটা আদালতের কাছে করেছেন রায়ান গিগসের সাবেক বান্ধবী। এখানেই শেষ নয়, সেখানে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতনের মামলা করেছেন, যেখানে উল্লেখ আছে তার বোন এমাকে মারধরের গুরুতর অভিযোগও।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের নভেম্বরে এই আদালতে অভিযোগটি করেন তিনি। এরপর তার বাড়িতে তদন্তের জন্য হাজির হয় পুলিশ। তখন সাবেক ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ছিলেন ওয়েলস দলের কোচ হিসেবে। এই অভিযোগের পর ওয়েলস দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব হারান তিনি। ঘটনা সেখানেই শেষ নয়, এবার আরও বড় বিপদে পড়ে গেছেন তিনি।
আদালতে গিগসের অবাধ ও উদ্দাম যৌন জীবন, সেইসঙ্গে তার ওপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের কথা ফাঁস করেছেন গ্রেভিল। শুধু অভিযোগ দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, একাধিক প্রমাণও যোগাড় করে আদালতকে দিয়েছেন গ্রেভিল।
তিনি আদালতকে জানান, তার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করতেন সাবেক ম্যান ইউনাইটেড তারকা। আদালতকে গ্রেভিল বলেছেন, ‘সবসময় উদ্দাম যৌনতায় মেতে থাকতেন গিগস। সাত-আটজনের সঙ্গে সহবাস করতেন।’ একবার গিগসের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথা বলায় গ্রেভিলের দিকে ল্যাপটপ ছুঁড়ে মেরেছিলেন সাবেক ওয়েলস ফুটবলার।
২০১৪ সালে গিগসের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু কেটের। তবে বছর তিনেক পরই ছন্দপতনের শুরু। গিগস যে পরনারী আসক্ত, সেটা হাতেনাতে ধরে ফেলেন কেট। এরপর যা হয় সাধারণত, হয়েছে সেটাই; সম্পর্কে ঝামেলা হয়েছে বেশ।
এই সময় রাগে আগুন হয়ে গিগস তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হোটেলের করিডোরেও বের করে দিয়েছিলেন, জানান ৩৬ বছর বয়সী কেট। সেই তিক্ততা ধীরে ধীরে চরমে পৌঁছায় ২০২০ সালে।
কেট গ্রেভিলের এমন সব অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন সাবেক ইউনাইটেড তারকা। গিগসের আইনজীবীদের কথা, এমন ডাহা মিথ্যা বলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন তার সাবেক। এতদিন কেন এই অভিযোগ তোলেননি কেট, এমন প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন গিগসের আইনজীবীরা। এই ঘটনা সত্য হোক বা না হোক, আপাতত গিগসের ভাবমূর্তিতে যে বড় কালিমাই লেপন করে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।