দশ জনের আটালান্টার বিপক্ষে রিয়াল জিতল কষ্টেসৃষ্টে
ইতালিতে কোচ জিনেদিন জিদানের অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের হার নেই কখনো, জয় ছিল সবকটিতেই। সেই ধারা বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙতেই বসেছিল, তাও ম্যাচের শুরুতেই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া আটালান্টার বিপক্ষে! তবে শেষমেশ ফেরলান্দ মন্ডির গোলে রক্ষা! তার এক গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লড়াইয়ে আটালান্টার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে জিদানের দল।
আগের মৌসুমেই আটালান্টা খেলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে, পিএসজির কাছে শেষ মুহূর্তে না হারলে হয়তো খেলে ফেলত সেমিফাইনালেও। কোচ পিয়েরো গ্যাসপারিনির দল প্রশংসিত হয়েছিল নিজেদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের জন্যে। সেই দলটাই এবার বড় বিবর্ণ। সে ছাপটা দেখা গেল নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে। প্রথমার্ধে যাও দুটো লক্ষ্যভ্রষ্ট শট করেছিল বেরগামোর দলটা, দ্বিতীয়ার্ধে নিতে পারল না তাও। ফলে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছোট্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচ শেষ করে প্রতিপক্ষ গোলমুখে কোনো শট করার আগেই।
বিজ্ঞাপন
এর দায়টা যে ১৭ মিনিটে রেমো ফ্রলারের লাল কার্ডের, তা বলাই বাহুল্য। দলটা অবশ্য এরপরও চেষ্টা করেছিল, আক্রমণে উঠে এসেছিল ৪১ মিনিটে। তবে লুইস মুরিয়েলের শটটা হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। রিয়ালও এর আগে পরে সুযোগ পেয়েছিল দুটো, কিন্তু দুবারই দারুণভাবে তা প্রতিহত করে আটালান্টা রক্ষণ।
দশ জনের দলের বিপক্ষে বিরতির পর থেকেই চাপ বাড়াচ্ছিল রিয়াল। ৪৮ মিনিটে লুকা মদ্রিচের শট প্রতিহত হয় আটালান্টা রক্ষণ-দেয়ালে, এর মিনিট ছয়েক পর গোলরক্ষক গোলিনি দারুণ এক চেষ্টা রুখে দেন রিয়াল ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াসের।
এরপর সময় যত বাড়ছিল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল রিয়ালের দুশ্চিন্তাও। সে দুর্ভাবনা থেকে কোচ জিদানকে মুক্ত করেন ফেরলান্দ মন্ডি। বক্সের বাইরে মদ্রিচের পাস থেকে পাওয়া সুযোগে দূরপাল্লার এক শট করে বসেন তিনি। সেটাই আছড়ে পড়ে আটালান্টার জালে। ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ও নিশ্চিত হয় রিয়াল মাদ্রিদের।
তবে ফিরতি লেগের আগে দুশ্চিন্তাও আছে দলটির। ২৩ মিনিটে দেখা এক হলুদ কার্ডে পরের লেগ থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় ক্যাসেমিরো। চোটের কারণে আগ থেকেই নেই কারিম বেনজেমা, সার্জিও রামোসরা। পরের লেগে খেলবেন কিনা তা নিয়েও আছে সন্দেহ। ফলে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে আটালান্টার বিপক্ষে এক গোলের অগ্রগামিতা ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে কোচ জিদানের দলের জন্য।
এনইউ