পিএসজি শেষ এক দশকে দলবদলের বাজারে কম টাকা ঢালেনি। তবে যে লক্ষ্যে এই টাকা ঢেলেছে দলটি, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগই রয়ে গেছে অধরা। গেল মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পিএসজির বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল। যে কারণে দলটি তাদের ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো আর কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল। 

তাদের জায়গাটা নিয়েছেন ক্রীড়া পরিচালক লুইস ক্যাম্পোস আর কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। নতুন কোচ দায়িত্বে এসেই পিএসজির খেলোয়াড়দের দিয়েছেন এক বার্তা, মাঠে আর মাঠের বাইরে সমান নিয়মানুবর্তী হতে হবে।

আরও পড়ুন>> সারা দুনিয়া জানে মেসি কী করতে পারে

পিএসজি কোচ আর ক্রীড়া পরিচালক পদে পরিবর্তন এনেছে মূলত ক্লাবের পরিবেশটাই বদলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। লেকিপে জানাচ্ছে, ক্রীড়া পরিচালক ক্যাম্পোসের ওপর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে ক্লাবটির।

ক্যাম্পোস যেদিন প্রথম পিএসজি খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, এরপরই তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন কিছু বিষয়। জানিয়ে দিয়েছেন, কিছু নিয়ম বেধে দেওয়া হবে, আর সবাই তা মেনেই চলতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাদের দল থেকে বেরোনোর রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হবে, এমনটাই বলেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারের জাদুকরি গোলে শিরোপায় শুরু পিএসজির মৌসুম

এখানেই শেষ নয়। পিএসজির খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে সকাল আর দুপুরের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার নিয়ম বেধে দিয়েছেন ক্যাম্পোস। সে সময় কোনো প্রকারের ফোনকলে কথা বলা যাবে না বলেও জানা গেছে। তবে তাই বলে ট্রেইনিং ক্যাম্পে ফোন নিষিদ্ধ থাকবে না একেবারে।

তবে নতুন খবরে যা বেরিয়ে এসেছে, তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো খবরই। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ক্যাম্প চলা কালে মেসি-নেইমারদের রাতের অবকাশে বাইরে ঘুরে বেড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছেন ক্যাম্পোস। অতিরিক্ত পার্টি করা হয় বলে পিএসজির খেলোয়াড়দের দুর্নাম ছিল আগে থেকেই, ২০২০ সালে দল ছেড়ে গিয়ে রাইট ব্যাক থমাস মিউনিয়ের বলেছিলেন এই কথা। সেটাই এবার বন্ধ হতে চলেছে ক্যাম্পোসের হাত ধরে।

আরও পড়ুন>> মেসিকে ফেরাতে বার্সাকে চাপ দিচ্ছেন জাভি

যার ফলে এখন রাতে চাইলেই বাইরে বেরিয়ে পার্টি করতে পারবেন না মেসি-নেইমাররা। সে আইন না মানলে কী হবে, সেটা কোচ গালতিয়েরই বলে দিয়েছেন। তার ভাষ্য ছিল, ‘কেউ যদি রেখার বাইরে পা রাখে, তাহলে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। কারণ কোনো খেলোয়াড়ই দলের ওপরে নয়।’

এখন পর্যন্ত এই সব পরিবর্তনই এসেছে পিএসজিতে। তবে ২০১৯ সালেও সাবেক ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো আসার পরেও ক্লাবে পরিবর্তন আনার তোড়জোর শুরু হয়েছিল। যদিও এসব থিতিয়ে পড়েছিল দুয়েক দিনের মধ্যেই। এবার নতুন সব নিয়ম কাজে দেয় কি না, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।

এনইউ