ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং সংকট কাটছেই না। রেফারিদের দাবি মেনে নতুন ফি নির্ধারণ করেছিল রেফারিজ কমিটি। সেই নির্ধারিত ফি অনুযায়ী সম্মানী না পাওয়ায় ও ফেডারেশনের অঙ্গীকারকৃত বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় আবারও ম্যাচ পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারিরা। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পর্বে ৬৬ ম্যাচ হয়েছে। সেই ম্যাচগুলোর ফি ঈদের আগে প্রদান করার কথা ছিল। ঈদের আগে রেফারিদের বকেয়া রেখে ফেডারেশন গতকাল ৩৩ ম্যাচের ফি প্রদান করেছেন সেটাও আগের হারে। ফেডারেশনের এমন কান্ডে ভীষণ ক্ষুব্ধ রেফারিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রেফারি বলেন, ‘ফেডারেশন আমাদের ব্যাপারে খুব উদাসীন এর জ্বলন্ত প্রমাণ এটি। ঈদের আগে যেখানে প্রথম পর্বের সব অর্থ দেওয়ার কথা সেখানে তা তো দেয়ইনি আবার ঈদের পর দিয়েছে অর্ধেক সেটাও আবার আগের ফি'তে। সকল রেফারি এতে মনঃক্ষুণ্ণ।’

আরও পড়ুন >> ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার নারী রেফারি দেখবে ফুটবল বিশ্বকাপ

গতকাল মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে রেফারিরা এক জরুরি জুম সভা করেন। সেখানে প্রায় ৪০ জন রেফারি-সহকারি রেফারি উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একমত হয়েছেন ফেডারেশনের এমন আচরণের পর খেলা চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আগামীকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচে কোন রেফারি দিয়ে খেলা পরিচালনা হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

দেনাপাওনা ছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রেফারি মনোনয়নে অসন্তোষ রয়েছে রেফারিদের মধ্যে। সাফ অ-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে যোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের বিচারে এক রেফারিকে মনোনীত করা হয়েছিল। সেই রেফারি দাবি দাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার থাকায় তার পরিবর্তে অন্য একজনকে সাফে পাঠানো হচ্ছে যার লিগের বড় ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই বলে জানান অনেক রেফারি। 

এজেড/এইচএমএ