জুভেন্তাসের বেনজেমা হবে ডি মারিয়া
চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি এখনো। তবে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আনহেল ডি মারিয়া জুভেন্তাসেই যাচ্ছেন। এমনটা যদি শেষমেশ হয়ই, তাহলে জুভেন্তাসের জন্য সেটা কল্যাণই বয়ে আনবে, অভিমত ডি মারিয়ার সাবেক সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াসের। তার মনে হচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদে বেনজেমা যেমন, জুভেন্তাসে তেমনই পারফর্ম করবেন ডি মারিয়া।
একটা সময় ছিল, যখন ৩০ পেরোলেই ফুটবলাররা ফুরিয়ে যেতেন। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, কারিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচরা সেটাকে ভুল প্রমাণ করেছেন শেষ কয়েক বছরে। ডি মারিয়াও আছেন তাদেরই দলে। মধ্য ত্রিশেও যে বিশ বছর বয়সী তরুণের মতো পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি!
বিজ্ঞাপন
সে কারণেই ক্যাসিয়াস মনে করছেন, রিয়ালে অভিজ্ঞ বেনজেমা যেমন, জুভেন্তাসে ডি মারিয়াও হবেন তেমনই। সম্প্রতি লা গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ডি মারিয়া দারুণ একটা দলবদল হতে যাচ্ছে। আনহেলের সঙ্গে (ফেদেরিকো) কিয়েসা, (দুসান) ভ্লাহোভিচ, আর (পল) পগবাকে নিয়ে দলটা দারুণ হবে। সে বিশ্বকাপের জন্যও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে চাইবে।’
মধ্য ত্রিশেও ডি মারিয়া দারুণ ফিট। ক্যাসিয়াস জানেন এর রহস্য। তিনি জানালেন, ‘সে খুবই সতর্ক একজন, যে সবসময় তার নিজেদের শরীরের প্রতি যত্ন নেয়। সে বড় কোনো চোটে পড়েইনি, আমি মনে করি সে দারুণ ছন্দে আছে। এই ইউরোপে সে সবসময় উঁচু মানের ফুটবলে ছিল সে, বড় ক্লাবে খেলেছে। ডি মারিয়া জুভেন্তাসকে নতুন দিনের দিশা দেবে।’
ক্যাসিয়াসের মনে হয়েছে, বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই মূলত বড় দলে গিয়েছেন ডি মারিয়া, যেন সেরা প্রস্তুতিটা নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে বিশ্বকাপ অপেক্ষা করছে, এটা পরিষ্কার যে সে একটা দল খুঁজছে যেখানে সে নিয়মিত খেলতে পারবে আর কাতারের চ্যালেঞ্জের জন্য সেরা প্রস্তুতিটা নিতে পারবে। ৩৪ হলেও সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। বয়সের বিষয়টা এখন আপেক্ষিক, ফুটবলারদের ক্যারিয়ার এখন লম্বা হয়েছে।’
এরপরই তিনি টানলেন বেনজেমা প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, ‘৪৪ বছর ছুঁয়েও আমার বন্ধু (জিয়ানলুইজি) বুফনের খেলা তো আছেই, এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ৩০ পেরিয়েও দারুণ করছে, ইউরোপে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলছে। আপনি কেবল বেনজেমা আর মদ্রিচের কথাটাই ভাবুন!’
কেন জুভেন্তাসের জন্য দারুণ এক খেলোয়াড় হবেন ডি মারিয়া, সেটাও প্রকাশ করলেন ক্যাসিয়াস। বললেন, ‘জুভেন্তাস এমন একজন খেলোয়াড়ের ওপর বাজি ধরে যারা মাঠের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অনেক কিছু করতে পারে। আমরা যখন লা ডেসিমা (২০১৪ সালে দলটির দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ), অ্যানচেলত্তি মাঝ মৌসুমে তার জায়গা পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন, সে দারুণ খেলেছিল।’
‘সে আক্রমণভাগেও খেলতে পারে, মাঝমাঠেও। সে একজন বুদ্ধিমান খেলোয়াড় যে ফুটবলটা ভালো বোঝে। আনহেলের দারুণ কিছু শট আছে, আর নিজেই ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে যেতে পারে।’
এনইউ/এটি