২০১৪, ২০১৮ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের দল ছিল বেশ শক্তিশালী। তবে দলটির বিশ্বকাপ স্বপ্নের নিউক্লিয়াস যে নেইমারই ছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে দু’বারই। ২০১৪ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের ছিটকে যাওয়ার পর সেমিফাইনালে ব্রাজিলের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া, কিংবা ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে নেইমারের চোট নিয়ে ব্রাজিলীয় সংবাদ মাধ্যমের উৎকণ্ঠাই বলে দিচ্ছিল দলের জন্য নেইমারের উপস্থিতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

তবে আগের দুই আসরের চেয়ে এবারের ব্রাজিল দল বেশ আলাদা। ব্রাজিল কোচ তিতে তার দ্বিতীয় বিশ্বকাপের আগে জানালেন, তার দলে নেইমারই একমাত্র মহাতারকা নন। দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্বটাও আসছে বিশ্বকাপে তার একার ঘাড়ে বর্তাবে না।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কনমেবল অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হয়েই ব্রাজিল এসেছে বিশ্বকাপে। ১৭ ম্যাচের ১৪টিতে জিতেছে দলটি; করেছে ৪০ গোল, হজম করেছে মাত্র ৫টি। 

দলের এমন ফর্মের পেছনে নেইমারের অবদানও ছিল বেশ। করেছেন ৮ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৭টি। তার মানে দাঁড়াচ্ছে দলের ৩৭.৫ শতাংশ গোলে আছে তার সরাসরি অবদান। তবে এরপরও তিতে মনে করেন, নেইমারের ওপর কাজের চাপটা খুব বেশি নয়। জানালেন, কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মতো দলের ভালো করার পেছনে দায়টা কেবল নেইমারের কাঁধেই নেই। 

সম্প্রতি গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য শারীরিক, টেকনিক্যাল, ট্যাকটিকাল ও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি, নেইমারের সঙ্গেও। আমরা আমাদের ভাবনাগুলোকে জেনেছি। নেইমারের শ্রেষ্ঠত্বের কারণে সবসময়ই বিশাল প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু এখন চাপটা শুধু তার কাঁধেই নেই। এখন দলে নেইমার তো আছেই, ভিনিসিয়াস, রাফিনিয়া, থিয়াগো শীর্ষ মানের ফুটবল খেলছে। পাকেতা, ফাবিনিও, ক্যাসেমিরোও আছে।’

তবে ভিনিসিয়াস, থিয়াগো আলকান্তারাদের ভিড়ে নেইমারই যে দলের শীর্ষ খেলোয়াড় হয়ে আছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই তিতের। তিনি বলেন, ‘নেইমার তো নেইমারই। সে-ই আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে এখন পার্থক্যটা হচ্ছে, তার আশেপাশেও এখন তারকা আছে, যারা আলো ছড়াতে পারে। নেইমারের ভালো বিষয়টা হলো, সে বিষয়টা বুঝতে পারে যে বাচ্চারা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। সে ছেলেদেরকে বেড়ে ওঠার জন্য উৎসাহ দেয়। সময় আর অভিজ্ঞতাই কেবল এমন মানসিক পরিপক্বতা দিতে পারে আপনাকে।’

এনইউ