চিলির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল ফিফা, বিশ্বকাপে খেলবে ইকুয়েডর
তীরে এসে ডুবতে বসেছিল ইকুয়েডরের বিশ্বকাপ তরী। দলের রাইটব্যাক বাইরন কাস্তিলোর জন্মসনদে গলদের অভিযোগ এনে ফিফার কাছে দেশটির বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল চিলি। তবে শুক্রবার (১০ জুন) চিলির সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ফিফা। যার ফলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের চতুর্থ দল হিসেবে ইকুয়েডরের আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের পথে আর কোনো বাঁধা রইল না।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, বাইরন কাস্তিলোর জন্মস্থান নিয়ে যে অভিযোগ করেছিল চিলি, ফিফা সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিজ্ঞাপন
এই প্রসঙ্গে ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সব পক্ষের তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর ফিফার শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চিলি ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। এছাড়া চাইলে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টেও ফিফার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে পারবে তারা।
ইকুয়েডর বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার পর বাছাইপর্বে খেলা দেশটির রাইটব্যাক কাস্তিলোর জন্মস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে চিলি। তার বিরুদ্ধে জন্মসনদে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করে ফিফার কাছে। অভিযোগের স্বপক্ষে অনেক প্রমাণও হাজির করেছিলেন চিলির আইনজীবী এদুয়ার্দো কারলেজ্জো। তবে ফিফার কাছে সেসব অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে চিলি।
চিলির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কনমেবল অঞ্চলে চতুর্থ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শেষ করলেও মূল আসরে খেলা হত না ইকুয়েডরের। কারণ খেলোয়াড়দের জন্মসনদে ভুয়া তথ্য দেওয়া ফিফার আইনের পরিপন্থী। সেক্ষেত্রে কনমেবল অঞ্চলে সপ্তম স্থানে থেকে বাছাই পর্ব শেষ করা চিলি পেয়ে যেত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। কারণ কাস্তিলো ইকুয়েডরের হয়ে বাছাই পর্বে যে আটটি ম্যাচে খেলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইকুয়েডরের সেই আট ম্যাচের সব পয়েন্ট কাটা পড়ত। যেহেতু কাস্তিলো পয়েন্ট তালিকার যথাক্রমে পাঁচ এবং ছয়ে থাকা পেরু ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলেননি এবং চিলির বিপক্ষে বাছাই পর্বে দুই ম্যাচেই খেলেছেন, তাই ইকুয়েডরের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার চারে উঠে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হত চিলির।
তবে শেষ পর্যন্ত চিলির অভিযোগ ফিফা ফিরিয়ে দেওয়ায় আগামী নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ইকুয়েডরই খেলবে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে খেলেছিল তারা। আগামী বিশ্বকাপে স্বাগতিক কাতার, নেদারল্যান্ডস এবং সেনেগালের সঙ্গে গ্রুপ এ’তে রয়েছে ইকুয়েডর।
এইচএমএ