সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি এখন পেশা হিসেবে নিয়েছেন কোচিং। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে স্বেচ্ছায় সরে এসেছিলেন। দুই ধাপ নিচে গিয়ে এখন কোচিং করাচ্ছেন দ্বিতীয় বিভাগের দল সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নানা ধরনের ফিক্সিং অভিযোগ। এগুলো এত দিন গোপন থাকলেও এই সংক্রান্ত বোমা ফাটিয়েছিলেন আজমপুরের কোচ সাইফুর রহমান মনি। তিনি নিজের খেলোয়াড় ও ক্লাবের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট ছিলেন না। কিছু কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি স্বেচ্ছায় সরে যান দায়িত্ব থেকে। তার দল আজমপুর প্রিমিয়ারে উঠার লড়াইয়ে থাকলেও তিনি সরে আসেন।

চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এখনো চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন দ্বিতীয় বিভাগের দল সাইফ স্পোর্টিং যুব দলের। দুই স্তর নিচের দলকে কোচিং করানোর কারণ সম্পর্কে সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার বলেন, ‘সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রিমিয়ারে যেমন ভালো করছে। তেমনি তারা তৃণমূলে ভালো কিছু করতে চায়। তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় এখানে যোগ দিয়েছি।’
  
আজ সোমবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তকা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথম ধাপের ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রায় ১৫০ জন ফুটবলার এতে অংশ নেন। সাইফের জুনিয়র টিমের প্রধান কোচ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সাইফুর রহমান মণির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই ট্রেনিং কার্যক্রমে সহকারী হিসেবে ছিলেন আরো দুজন। ট্যালেন্ট হান্টে অংশ নেয়া ফুটবলাররা দু’দলে ভাগ হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়েও নামে। কয়েক ধাপে খেলোয়াড়দের দিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানো হয়। পর্যবেক্ষণ করা হয় তাদের ম্যাচ ফিটনেস, উইথ বল টেকনিক ও ট্যাকটিসের পরীক্ষা। 

সকাল ৯টায় শুরু হওয়া টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা শেষ হয় দুপুর ২টায়। ৪ জন গোলরক্ষকসহ মোট ৩৭ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়।

আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় এবং শেষ ধাপের কাজ সম্পন্ন করবে ক্লাবটি। সেদিনও আজকের মতো খেলোয়াড় উপস্থিতি প্রত্যাশা কোচ মণির। দুই ধাপে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত হবেন, তাদের নিয়ে চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে। সেখান থেকে পরে বেছে নেয়া হবে দল। দ্বিতীয় বিভাগের দল গঠনের জন্য মোট ৩০ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে। সাইফের একাডেমিতে এখন ১৫-১৬ জন খেলোয়াড় আছে। তাদের সঙ্গে আরো ১৪-১৫ জন যোগ হবে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ হওয়ার পরও যদি মেধাবী খেলোয়াড় থেকে যায় তাদের একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া হবে না। 

সাইফ যখন তাদের একাডেমি শুরু করবে সেখানে ওই খেলোয়াড়দেরও যুক্ত করা হবে। কিছু খেলোয়াড় থাকবে অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য। তাই যারা ৩০ জনের দলে ঠাঁই পাবেন না না; তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মেধাবী হলে সুযোগ থাকছে সাইফের অন্য দলে যুক্ত হওয়ার- এমনটাই জানান কোচ সাইফুর রহমান মণি। দল গোছানোর পর দ্বিতীয় বিভাগে সাইফ জুনিয়র টিমকে চ্যাম্পিয়ন করানোই মণির প্রধান লক্ষ্য। সেভাবেই নিজের কার্যক্রমকে গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

এজেড/এটি/এইচএমএ