পোর্তোর কাছে হারে বিহ্বল রোনালদো, বিহ্বল জুভেন্তাস/ছবি: ফক্স স্পোর্টস

পোর্তো জুভেন্তাস
তারেমি ২ চিয়েসা ৮২
মারেগা ৪৬                    

আগের রাতেই নিজেদের মাঠে কিলিয়ান এমবাপে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। এবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্তাসও পড়ল হারের কবলে, পোর্তোর কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে দলটি। তবে বার্সেলোনার মতো নিজেদের মাঠে নয়, হেরেছে পোর্তোর মাঠে। ব্যবধানটা কম, আছে অ্যাওয়ে গোলও। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের আশাটাও ফিকে হয়ে যায়নি এখনো।

দুই অর্ধের শুরুর দুই গোলে হারের বিস্বাদ নিয়েছে দলটি। শুরুর বাঁশির পর তখন সাকুল্যে এক মিনিট পেরিয়েছে। জুভেন্তাস গোল হজম করে বসে তখনই। নিজেদের বিপদসীমায় গোলরক্ষক ভয়চেখ সজেসনিকে পাস দিতে গিয়ে রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুর বল তুলে দেন মেহদি তারেমির পায়ে। প্রথম ছোঁয়াতেই বলটা জালে পাঠান পোর্তো ফরোয়ার্ড, প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে দলটি।

এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর বদলে চাপে পড়ে যায় জুভেন্তাস। প্রথমার্ধে তাই বলার মতো আক্রমণই করতে পারেননি রোনালদোরা। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও এক গোল। মাত্র ১৯ সেকেন্ডের মাথায় ডান প্রান্ত থেকে উইলসন মানাফার পাস জুভেন্তাস বিপদসীমায় খুঁজে পায় মুসা মারেগাকে। প্রথম টোকাতেই বলটা জালে জড়ায় আফ্রিকান এই ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোনো ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে এর চেয়ে কম সময়ে আর গোল হজম করেনি দলটি। 

৪৬ মিনিটে দুই গোল হজম করে কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর দল বড় হারের শঙ্কায়ই পড়ে গিয়েছিল। তবে এরপরই নিজেদের গুছিয়ে নেয় বিয়েঙ্কোনেরিরা। রোনালদোদের নিস্প্রভতায় গোলটা অবশ্য রয়ে গিয়েছিল অধরাই। তবে কোচ পিরলোকে কিছুটা স্বস্তি উপহার দেন ফ্রেদেরিকো চিয়েসা। ৮২ মিনিটে তার কল্যাণেই যে মহামূল্য অ্যাওয়ে গোলটি পায় জুভেন্তাস!

তবে শেষ বাঁশির একটু আগে রেফারি দেন এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন রোনালদো। রেফারি তো তাতে সাড়া দেনই নি, উল্টো শেষের তিন হুইসেল বাজিয়েছেন একটু পরেই। ফলে মাঠ ছাড়ার সময় অসন্তোষ আর ২-১ গোলের হারই সঙ্গী হয় রোনালদোদের।
এই হারে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি দলটির। একটা ‘অ্যাওয়ে গোল’ তো আছেই, পরের লেগে ১-০ গোলে জয়ই দলটিকে তুলে দেবে শেষ আটে।

এনইউ