লিভারপুল সমর্থকরা প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছেন, পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং পেপার স্প্রে ছুঁড়ছে। প্যারিসের স্তাদ দো ফ্রান্সে এটাই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পূর্বের চিত্র। টিকিট নিয়েও অসংখ্য লিভারপুল সমর্থক খেলা দেখতে পারেননি, উল্টো পুলিশের কিল-গুঁতো খেয়েছেন। মাঠের বাইরের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে উয়েফা এবং আয়োজক ফ্রান্সকে কাঠগড়ায় তুলছে সবাই।

তবে ফ্রান্স সরকার অনাকাঙ্ক্ষিত সেই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি লিভারপুলকে দায়ী করেছে। লিভারপুল ফাইনালে ‘বড় ধরনের টিকিট জালিয়াতি’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। লিভারপুল সমর্থকদের ইলেকট্রনিক টিকিট না দিয়ে কাগজের টিকিট সরবরাহ করেছিল, যার ফলে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে’ টিকিট জালিয়াতির সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ তার। ফ্রান্সের এই মন্ত্রী বলেছেন, ফাইনাল দেখতে আসা ৬২ হাজার লিভারপুল সমর্থকের দুই-তৃতীয়াংশের টিকিট ছিল ভুয়া।

লিভারপুল সমর্থকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন এই ফরাসি মন্ত্রী। তার মতে, মাঠের বাইরে সেদিন পুলিশের হস্তক্ষেপের ফলে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা গেছে।

লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী বিলি হোগান সেদিনের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্লাব এবং তার সমর্থকদের দায়ী করায় বিস্মিত হয়েছেন। লিভারপুলের মালিক টম ওয়ার্নার ফরাসি ওই মন্ত্রীর কাছে এক চিঠি দিয়ে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

উয়েফা এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের এই ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ হয়েছেন।

মাঠের বাইরের সেই বিশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছিল খেলাতেও, নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচ।

এইচএমএ