সমকামীদের সমর্থনে পিএসজি নিজেদের শেষ ম্যাচে নেমেছিল জার্সির ফন্টের রঙ বদলে। মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জেতা সেই ম্যাচে দলটির জার্সির রঙ ছিল রংধনুর সাত রঙে, যা মূলত সমকামী, উভকামী, রুপান্তরকামী ইত্যাদি সংখ্যালঘু যৌন প্রবৃত্তির মানুষদের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, সেই রঙে। সেই সমর্থনটা করেননি লিওনেল মেসি, নেইমারদের পিএসজি সতীর্থ ইদ্রিসা গানা গেই। সে কারণে এবার পিএসজির এই মিডফিল্ডারকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।

এমনটা অবশ্য এবারই প্রথম করেননি গেই। গেল মৌসুমেও হোমোফোবিয়া বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে ১৭ মে’র সব ম্যাচে খেলোয়াড়দের নাম আর জার্সি নম্বর লেখা হয়েছিল রংধনু রঙে, উদ্দেশ্য ছিল একই। উল্লেখ্য, গেল মৌসুমে এই ম্যাচে পিএসজি খেলেছিল রেঁসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও দলে ছিলেন না গেই।

এই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে। যদিও পিএসজির কোচ মরিসিও পচেত্তিনো জানিয়েছিলেন, তাকে মূলত ব্যক্তিগত কারণে এই ম্যাচটা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। 

তবে এতকিছুর মধ্যেও অবশ্য গেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেননি। তার প্রতিনিধিরা বিষয়টি অস্বীকার করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি তার পক্ষ থেকে।

এরপর তার দেশ সেনেগালের রাষ্ট্রপতিও তাকে সমর্থন দেন এই বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘ইদ্রিসা গানা গেইকে আমি সমর্থন করি। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান জানানো উচিত।’ তাতেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়, সমকামিতা সমর্থন করতে হবে বলেই সেই ম্যাচে এড়িয়ে গেছেন তিনি।

ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের এথিকস বোর্ড এক চিঠিতে জানিয়েছে, তারা বিষয়টিকে দেখছে এই পদক্ষেপে অংশ নিতে অনীহা হিসেবে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘এই অনুপস্থিতিকে (মঁপেলিয়ের বিপক্ষে) সবাই দেখছে অংশগ্রহণে অনীহা হিসেবে।’

গুঞ্জন সত্যি হলে তা হবে গেই’র করা ‘বড় ভুল’, বলছে এফএফএফ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুটো কাজ করা যেতে পারে, এমন সব গুঞ্জন মিথ্যে হলে আমরা আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি এ বিষয়ে কথা বলতে, এবং গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করতে। আর সেগুলো সত্য হলে আপনার করা এই বড় ভুলের পরিণাম জেনে নিতে হবে আপনাকে। কারণ এই পদক্ষেপে অংশ না নিয়ে আপনি শুধু এলজিবিটিকিউ+ সমাজের প্রতিই নয়, বরং মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকেই বৈধতা দিচ্ছেন।’ এ থেকে নিস্তার লাভ করতে চাইলে, তাকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানাচ্ছে ফরাসি সংবাদ মাধ্যম।

এনইউ