কান্নাভেজা চোখে জুভেন্টাসকে বিদায় জানালেন দিবালা
অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা দেখেছেন পাউলো দিবালা। সাত মৌসুম ধরে ‘মাস্ক’ উদযাপনে এই মাঠে সমর্থকদের কতশত আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। সোমবার রাতে জুভেন্টাসের হয়ে যখন অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে শেষবার খেললেন, তখন হয়ত সেসব স্মৃতিই বারবার ভেসে উঠছিল দিবালার চোখে, তাই তো আবেগ বাঁধ মানল না। আর আবেগ বাঁধ মানল না। এক সমুদ্র অশ্রুজলে জুভেন্টাসকে বিদায় বললেন দিবালা।
গত কয়েক মৌসুম ধরেই দিবালার জুভেন্টাস ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, অবশেষে এই মৌসুমে সেটা সত্যি হল। দিবালা নিজেই রোববার এক টুইটে জানিয়েছিলেন, জুভেন্টাসকে অবশেষে তার বিদায় বলতে হচ্ছে। এই মৌসুম পর্যন্তই ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি ছিল। নতুন চুক্তির কোন সম্ভাবনা না থাকায় এই মৌসুম শেষেই তুরিন ছেড়ে যাচ্ছেন দিবালা।
বিজ্ঞাপন
২০১৫ সালে পালের্মো থেকে জুভেন্টাসে এসেছিলেন দিবালা। সাত মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ২৯১ ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ১১৫ টি আর বানিয়ে দিয়েছেন ৪৮ টি। এছাড়া ‘তুরিনের বুড়ি’দের হয়ে বেশকিছু শিরোপাও জিতেছেন, যার মাঝে রয়েছে পাঁচটই স্কুদেত্তো, চারটি কোপা ইতালিয়া এবং ৩ টি সুপারকোপা ইতালিয়ানা।
দিবালার সঙ্গে এদিন জুভেন্টাসকে বিদায় বলেছেন দলটির কিংবদন্তিতুল্য ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। ২০০৪ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া কিয়েলিনি দেড় যুগ পর বিয়াঙ্কোনেরিদের বিদায় বললেন। ক্লাবটির হয়ে ৫৬০ ম্যাচ খেলা এই ইতালিয়ান সম্প্রতি জাতীয় দল থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
শিরোপাবিহীন এক মৌসুম কাটানো জুভেন্টাস দুই মহারথীর বিদায়ের দিনটাকে জয়ের আনন্দে রাঙিয়ে দিতে পারেনি। ঘরের মাঠে লাৎসিওর বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে। ম্যাচের ৭৮ মিনিট পর্যন্ত খেলেছিলেন দিবালা আর ক্লাবের হয়ে ১৭ মৌসুম খেলা কিয়েলিনি প্রথম ১৭ মিনিট খেলেই মাঠ থেকে উঠে গিয়েছিলেন।
দিবালা এবং কিয়েলিনি দুইজনের কারোই পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, সিরি আতেই থেকে যাবেন দিবালা, আগামী মৌসুমে ইন্টার মিলানে দেখা যেতে পারে তাকে। আর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি'র সঙ্গে কিয়েলিনির কথাবার্তা প্রায় পাকাপাকি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম।
এইচএমএ