মাঠে মৌসুমটা নিশ্চয়ই ভুলেই যেতে চাইবেন লিওনেল মেসি। এই মৌসুমেই বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে গিয়ে যে লিগে সব মিলিয়ে দশ গোলও করতে পারেননি তিনি। তবে মাঠের বাইরে দাপটটা আগের মতোই আছে আর্জেন্টাইন এই তারকার। শেষ ১২ মাসে তার চেয়ে বেশি আয় করেননি কেউ। ফলে আর্জেন্টাইন এই তারকাই বনে গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়।

আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পকেটে শেষ এক বছরে সব ধরনের আয় মিলিয়ে ঢুকেছে ১.৩ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে যার মূল্য দাঁড়ায় ১১২৭ কোটি টাকা। ফ্রান্সের নিয়মানুযায়ী তার ৪৫ শতাংশ অর্থ অবশ্য যাবে দেশটির কোষাগারে। যা হলে তার আয় টিকবে ৬২০ কোটি টাকা।

তবে ট্যাক্সপূর্ব যে আয়, সেটা ধর্তব্যে আনতেই মেসি বনে গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়। ক্রীড়া জগতে তার চেয়ে বেশি আয় নেই আর কারো, সম্প্রতি ফোর্বসের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। মেসি এই খেতাব গ্রহণ করার পথে হারিয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও এনবিএ তারকা লেবরন জেমসদের মতো তারকাদের।

মেসির ট্যাক্সপূর্ব আয়ের ৬৫০ কোটি টাকা আসে ফুটবল খেলে। বাকি অংশ আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের দূতিয়ালি করে, ও বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠান থেকে। ফোর্বসের এই তালিকার শীর্ষে অবশ্য এবারই প্রথম আসেননি মেসি। এর আগে ২০১৯ সালেও এই তালিকার চূড়ায় ছিলেন তিনি। 

২০২২ সালের এই তালিকায় মেসির পরই আছেন লেবরন জেমস। তবে আর্জেন্টাইন মহাতারকার আয় থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই এই বাস্কেটবল তারকা। বছরে তার আয় ১০৫০ কোটি টাকা, মেসির চেয়ে ‘কেবল’ ৭৭ কোটি টাকা কম আয় তার। ৯৯৭ কোটি টাকা আয় নিয়ে রোনালদো আছেন এই তালিকার তিনে।

২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ দশ খেলোয়াড়- (টাকার অঙ্কে)
লিওনেল মেসি-১১২৭ কোটি টাকা
লেবরন জেমস- ১০৫০ কোটি টাকা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো- ৯৯৭ কোটি টাকা
নেইমার- ৮২৩ কোটি টাকা
স্টিফেন কারি- ৮০৪ কোটি টাকা 
কেভিন ডুরান্ট- ৭৯৮ কোটি টাকা
রজার ফেদেরার- ৭৮৬ কোটি টাকা
কানেলো অ্যালভারেজ- ৭৮০ কোটি টাকা
টম ব্র্যাডি- ৭২৭ কোটি টাকা
গিয়ানি আনতেতুকুম্পো-৭০১ কোটি টাকা

এনইউ