এই তো কিছুদিন আগেও বার্সেলোনার অস্পৃশ্য খেলোয়াড়দের তালিকা করলে সামনের দিকেই থাকত ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নাম। তবে শেষ কিছুদিনের গড়পড়তা পারফর্ম্যান্সে ক্লাবের সুনজর সরে গেছে তার ওপর থেকে। যদিও দলবদলের বাজারে তার চাহিদা আছে বেশ। সঙ্গে যোগ হয়েছে বার্সেলোনার অর্থনৈতিক দুর্দশা। দুয়ের মিশেলে তাকে দলছাড়া করতে চাইছে বার্সা। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ৭২৫ কোটি টাকার বেশি যে কোনো প্রস্তাব এলেই তাতে মনোযোগ দেবে কাতালান ক্লাবটি।  

গেল গ্রীষ্মকালীন দলবদল মৌসুমে এই অর্থনৈতিক সমস্যার কারণেই লিওনেল মেসিকে নতুন চুক্তি দিতে পারেনি বার্সেলোনা। মাঝে বেশ কিছু খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে বটে, তবে চলতি অর্থবছরের শেষ যতই ঘনিয়ে আসছে, বার্সেলোনার অর্থনৈতিক সংকটটা আবারও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সে সংকটটা কিছুটা লাঘব করতেই বার্সা বেশ কম দামে ছেড়ে দিচ্ছে ফেলিপে কৌতিনিওকে। এবার নজরটা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ওপর।

বার্সেলোনার বর্তমান স্কোয়াডে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়দের একজন ডাচ এই মিডফিল্ডার। বেতনটাও আকাশছোঁয়া। মার্কা জানাচ্ছে, প্রতি মৌসুমে তিনি অন্তত ১৫৬ কোটি টাকার বেতন নেন বার্সেলোনার কাছ থেকে। তবে দামের অনুপাতে পারফর্ম্যান্সটা তার পক্ষে কথা বলছে না মোটেও। হু স্কোরড বলছে শেষ ১০ ম্যাচের একটিতে কেবল তার পারফর্ম্যান্স ১০ এ ৭-এর বেশি রেটিং। পুরো মৌসুম হিসেব করলেও সাতের নিয়েই থাকছে তার পারফর্ম্যান্স রেটিং। 

রেটিংয়ের বাইরেও বার্সেলোনার ম্যাচে তিনি প্রভাব ফেলতে পারছেন খুবই কম। চলতি মৌসুমে প্রতি ম্যাচে গড়পড়তা পাসসংখ্যা ঘুরপাক খাচ্ছে পঞ্চাশের ঘরে। গোল-অ্যাসিস্টও চোখে পড়ার মতো নয়। সব মিলিয়েই গড়পড়তা যাচ্ছে তার মৌসুমটা।

তবে তা সত্বেও বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডারের দলবদল বাজারের চাহিদাটা নেহায়েত কম নয়। ট্রান্সফারমার্কেট জানাচ্ছে, এখনো অন্তত ৬৩৫ কোটি টাকা সমপরিমাণ মূল্য আছে ডি ইয়ংয়ের। দলের অর্থনৈতিক দুর্দশার দিনে সেটাই কাজে লাগাতে চাইছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের খবর, বার্সেলোনার কাছে ৮০ মিলিয়ন ইউরো বা ৭২৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ কিংবা তার চেয়ে বেশি টাকার প্রস্তাব এলে শুনবে ক্লাবটি।

পুরো পরিস্থিতিটাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মনোযোগ দিয়ে দেখছে। নতুন কোচ এরিক টেন হ্যাগের অধীনে দলটি মাঝমাঠে নতুন খেলোয়াড় আনতে চায়। আয়াক্সে এই টেন হ্যাগেরই শিষ্য ছিলেন ডি ইয়ং। সে কারণেই এই দলবদলের খবরে ইউনাইটেড গুরুত্বপূর্ণ এক অবস্থানেই আছে।

তবে ইউনাইটেডের পথটা অবশ্য খুব পরিষ্কার নয়। ইএসপিএন জানাচ্ছে, ডাচ এই মিডফিল্ডারের জন্য পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ আর সিটিও আগ্রহী। এক্ষেত্রে ইউনাইটেডের বড় প্রতিপক্ষ হতে পারে সিটি। ২০১৯ সালে ডাচ এই মিডফিল্ডার যখন যোগ দিচ্ছেন বার্সায়, তার আগেই ডাচ মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলা। ডি ইয়ংকে যখন বেচতে চাইছে বার্সেলোনা, সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া গার্দিওলার দল। 

এনইউ/এটি