প্রিমিয়ার লিগে গত কয়েক মৌসুমে যে খেলোয়াড়টির দলবদল নিয়ে সবচেয়ে বেশি নাটক হয়েছে, তিনি হলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল পগবা। তবে দলবদলের অগণিত গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে ওল্ড ট্রাফোর্ডেই থেকে গিয়েছেন এই বিশ্বকাপজয়ী। এই মৌসুম শেষ হলেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তার বহুল আলোচিত চুক্তির মেয়াদ ফুরাচ্ছে। তবে মৌসুম শেষে ম্যানইউ ছাড়লেও ম্যানচেস্টার শহর হয়ত ছাড়া হচ্ছে না এই আলোচিত মিডফিল্ডারের।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, ম্যানচেস্টার সিটি পল পগবাকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে টানতে চায়। আর পগবাও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের জার্সি গায়ে চড়াতে প্রস্তুত। পগবাকে চার বছরের চুক্তির প্রস্তাব দিতে পারে সিটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৯ সালে কার্লোস তেভেজের ইউনাইটেড থেকে সিটিতে যাওয়ার পর এটি ম্যানচেস্টারের সবচেয়ে বিতর্কিত দলবদল হতে পারে।

আগামী গ্রীষ্মে দলের বর্ষীয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহোকে হারাচ্ছেন গার্দিওলা। প্রায় এক দশক ম্যানচেস্টার সিটিতে কাটিয়ে এই মৌসুম শেষে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ৩৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা নিজ দেশ ব্রাজিলে খেলতে চান ফার্নান্দিনহো। আর ফার্নান্দিনহোর অভাব পূরণ করতেই পগবাকে চান গার্দিওলা।

নিজেদের অ্যাকাডেমি প্রোডাক্ট পগবাকে ২০১৬ সালে জুভেন্টাস থেকে তখনকার বিশ্বরেকর্ড দলবদল ফি ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে এই দলবদলকে এরপর অসংখ্যবার ‘ব্যর্থ’ ট্যাগ দিয়েছে ফুটবলবোদ্ধারা। গত ছয় বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে অফ ফর্ম, চোট সমস্যা, সমর্থকদের সাথে মন-কষাকষিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন পগবা। এই সময়ে দলের হয়ে ২২৬ ম্যাচে মাঠে নেমে ৩৯ গোল করেছেন তিনি।

এক সময়ের বিশ্বরেকর্ড দলবদলের খেলোয়াড়কে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে টানার লোভ সামলাতে পারছে না ম্যানসিটি। ইউনাইটেডে সপ্তাহে ৩ কোটি টাকা আয় করা পগবার হাতেও খুব বেশি বিকল্প নেই। ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি তাকে চায় বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ পূর্বে তাকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খুব সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে পগবার। মাসের শুরুতে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মৌসুমে ইউনাইটেডের আর দুই ম্যাচ বাকি আছে, তাই রেড ডেভিলদের হয়ে এই মৌসুমে আর হয়ত মাঠে ফিরতে পারবেন না তিনি।

এইচএমএ