পল পগবা-এরলিং হালান্ড সহ ইউরোপীয় ফুটবলের অনেক শীর্ষ তারকার এজেন্ট মিনো রাইওলা মারা গেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছিল ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম। তবে ৫৪ বছর বয়সী এই এজেন্টের মৃত্যুর খবরটি অস্বীকার করেছিল তার এজেন্সি। তারা এটিকে 'গুজব' বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর রাইওলা নিজেই তার ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে এই তার মৃত্যুর গুজবে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত জানুয়ারিতে মিলানের একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তখন তার একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম। তবে তার অসুস্থতার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

কয়েক মৌসুম আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পগবার এজেন্ট হিসেবে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি, পগবা ছাড়াও সুইডিশ ফরোয়ার্ড ইব্রাহিমোভিচ এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তরুণ ফরোয়ার্ড হালান্ডের এজেন্ট হিসেবেও কাজ করছিলেন তিনি।

২০১৬ সালে যখন জুভেন্টাস থেকে বিশ্বরেকর্ড ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন পগবা, তখন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল সেই দলবদল থেকে প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছিলেন সুপার এজেন্ট রাইওলা।

ফুটবল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম এবং আলোচিত এজেন্ট এই ইতালিয়ান এজেন্ট মার্কো ভেরাত্তি, রোমেলু লুকাকু, মাথিয়াস ডি লিট, স্টেফা ডি ভ্রাই, জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা সহ ইউরোপের আরও অনেক শীর্ষ তারকার এজেন্ট ছিলেন। সবচেয়ে নিজের খেলোয়াড়দের কল্যাণ দেখার চেষ্টা করতেন এই এজেন্ট, আর সেজন্য প্রায়শই বিভিন্ন ক্লাব কর্তাদের চক্ষুশূল হতেন তিনি।

বিশেষ করে পগবাকে নিয়ে ২০১২ সালে তখনকার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের খবর তো ফুটবলভক্ত মাত্রই জানে। ২০১২ সালে ইউনাইটেড থেকে যাভাবে পগবা এবং তার পরিবারকে প্রভাবিত করে জুভেন্টাসে নিয়ে গিয়েছিলেন রাইওলা সেটা তখন মানতে পারেননি ফার্গুসন। রাইওলার ব্যাপারে পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি ম্যান ইউনাইটেড ম্যানেজার সরাসরি বলেছিলেন, 'তাকে (রাইওলা) আমি পছন্দ করি না।'

এইচএমএ/এটি