চলতি মৌসুমে লিগ জিতেছে পিএসজি। তবে তারকাখচিত দল কেবল ফরাসি লিগ জিতলেই যে প্রত্যাশা পূরণ হয়ে যায় না। সে কারণে চলতি মৌসুমটাকে বড় এক হতাশা হিসেবেই দেখা হচ্ছে ক্লাবের ওপর মহলে। ফলে ক্লাবটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। 

এর প্রথম কোপটা পড়তে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন তারকাদের ওপর। কেবল লিওনেল মেসির জায়গাই নিশ্চিত আছে ক্লাবটিতে, তাকে ছাড়া বাকি সব আর্জেন্টাইনকে তাড়িয়ে দিতে যাচ্ছে ক্লাবটি। যার ফলে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জেতানো তারকা আনহেল ডি মারিয়া, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, মাউরো ইকার্দিদের আগামী মৌসুমে আর দেখা নাও যেতে পারে পিএসজিতে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লেকিপে জানাচ্ছে, ফরাসি দলটি ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করে ফেলেছে, কাদের প্রথমেই ক্লাব থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে। এদের মধ্যে ডি মারিয়া, পারেদেসরা তো আছেনই, আছেন জুলিয়ান ড্র্যাক্সলার, লেইভিন কুরজাওয়া, তিলো কেহরাররাও আছেন।

এদের মধ্যে ডি মারিয়ার ক্লাব ছাড়া অনেকটাই নিশ্চিত। আসছে জুনে পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ। তার সঙ্গে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না। যার ফলে আগামী মৌসুমে তার ঠিকানা হবে অন্য কোনো দলে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বা বার্সেলোনায় হতে পারে তার নতুন গন্তব্য।

জুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের পরিস্থিতি অবশ্য ডি মারিয়ার মতো নয়। বড় তারকা হিসেবে ক্লাবটিতে বছর কয়েক আগে যোগ দিয়ে তিনি এখন বনে গেছেন ক্লাবটির জন্য অগুরুত্বপূর্ণ একজন। সে কারণেই মূলত ক্লাবটি তাকে ছেড়ে দিতে চাইছে, জার্মান এই খেলোয়াড়ের জন্য অবশ্য জার্মানির বেশ কয়েকটি ক্লাব আগ্রহও প্রকাশ করেছে ইতোমধ্যে। তবে লেকিপে জানাচ্ছে, সেভিয়াও হতে পারে তার নতুন গন্তব্য।

তবে এই তালিকায় পারেদেসের নামটা খানিকটা চমক হিসেবেই এসেছে। তিন মৌসুম আগে তাকে ৪০০ কোটি টাকায় দলে ভিড়িয়েছিল ক্লাবটি। কোচ মরিসিও পচেত্তিনোও তাকে গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচেই খেলিয়েছেন। এরপরও তাকে ছেড়ে দিতে চাইছে পিএসজি। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের খবর, তার ভবিষ্যত অপেক্ষা করতে সিরি’আতে।

লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেদের ভীড়ে মাউরো ইকার্দি পিএসজির আক্রমণভাগে ব্রাত্যই হয়ে পড়েছিলেন। সেই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে আসছে দলবদল মৌসুমেই ছেড়ে দিতে চায় ক্লাবটি।

এনইউ