গেল কোপা অ্যামেরিকায় নিজের জাত চিনিয়েছিলেন লুইস ডিয়াজ। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম ‘নতুন নেইমার’ তকমা লাগিয়ে দিয়েছিল তার গায়ে। অনেকটা তড়িঘড়ি করেই তখন তাকে দলে ভেড়ায় লিভারপুল। সেটা কেন হয়েছে, কেন তার নাম ‘নতুন নেইমার’ তারই যেন একটা নমুনা দেখালেন ডিয়াজ। করলেন এক গোল, করালেন আরেকটি; তাতে লিভারপুল বেনফিকার মাঠ থেকে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে চলে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের খুব কাছে।

দুই দিন পরেই প্রিমিয়ার লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে লিভারপুল। এমন এক ম্যাচে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ চাইলেও খর্বশক্তির দল মাঠে নামানোর স্পর্ধা দেখাতে পারতেন না। ম্যাচটা আর যা-ই হোক, ছিল যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের। তবে বড় পরিবর্তন ছিল একটা। সামনে মোহামেদ সালাহ আর সাদিও মানের সঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিলেন ডিয়াজকে। এই দলে বেনফিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলার সবচেয়ে টাটকা অভিজ্ঞতাটা যে ছিল তারই!

তবে ফিরমিনোর বদলে আক্রমণে নেমে ডিয়াজ যে খারাপ করেননি খুব, তার প্রমাণ মেলে তার পারফর্ম্যান্সে। মানে আর সালাহর সঙ্গে মিলে শুরু থেকেই আগুন ছড়িয়েছেন প্রতিপক্ষ রক্ষণে। তবে প্রথম গোলটা তার বা মানে-সালাহদের কাছ থেকে নয়, আসে ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের কাছ থেকে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার।

এর ১৭ মিনিট পর আবারও গোল দলটির। এবার ডিয়াজের পাস থেকে গোলটি করেন সাদিও মানে। বিরতিতেও এই গোলের ব্যবধান নিয়েই যায়ল রেডরা।

তবে দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে যেন মনোযোগটা কিছুটা সরে গিয়েছিল লিভারপুলের। ৪৯ মিনিটে সে সুযোগটা নেন গ্রুপ পর্বে বার্সেলোনাকে ঘোল খাওয়ানো ডারউইন নুনিয়েজ। তাতে দুই গোলের লিড হারিয়ে ড্রয়ের শঙ্কাও কিছুটা চেপে বসেছিল দলটির শিবিরে। 

ডিয়াজের গোলেই শেষ দিকে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ক্লপের দল পর্তুগালের মাটি ছাড়ে অল রেডরা। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের খুব কাছে চলে গিয়েছে দলটি।

এনইউ