ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে ব্রাজিল, যার শেষটা ছিল ২০০২ সালে। সেই ব্রাজিলই কি-না পরের চার বিশ্বকাপের একটিতেও খেলতে পারেনি ফাইনালে। সেলেসাওদের হেক্সা মিশনটা তাই আছে এবারও। ষষ্ঠ শিরোপার এবারের লড়াইয়ে ব্রাজিল আছে জি গ্রুপে। এমন গ্রুপে ব্রাজিল কোচ তিতে জানালেন, তার গ্রুপের প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালীই বটে। যাদের হারাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তার দলকে।

গতকাল নিজেদের প্রতিপক্ষ কারা হবে, তা জেনেছে ব্রাজিল। অনেকটা ২০১৮ সালের গ্রুপটাই পেয়ে গেছে সেলেসাওরা। সেবার সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া আর কোস্টারিকাকে গ্রুপসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন নেইমাররা। এবার শুধু কোস্টারিকাই বাদ পড়েছে সেই গ্রুপ থেকে। সে জায়গায় এসেছে ক্যামেরুন। 

এমন গ্রুপ ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ কি না সে প্রশ্নও ধেয়ে গিয়েছিল তিতের কাছে। জবাবে ব্রাজিল কোচ বললেন, ‘এটা জীবন মৃত্যুর বিষয় (গ্রুপ) নয় মোটেও। গ্রুপটা প্রায় একই রকম (ব্রাজিলের ২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ), শুধু কোস্টারিকাই এখানে নেই! আমরা সুইজারল্যান্ড আর সার্বিয়ার কথা বলছি, তারা ইতালি-পর্তুগালের মতো দলকে আটকে দিয়েছে। ক্যামেরুন আছে, যারা আফ্রিকান অঞ্চলের বেশ শক্তিশালী দল। নিজেদের খেলার মান বাড়াতে হবে আমাদের।’

গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন দল কে, এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, ‘সুইজারল্যান্ডের ম্যাচটা আমি দেখেছিলাম। তারা বাছাইপর্বে আমাদের পরপরই খেলেছিল। ইতালির বিপক্ষে খেলাটা ছিল তাদের, তারা শুরু থেকে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল, ২-০ প্রায় করেই ফেলেছিল, তবে শেষমেশ ড্র করেছিল দলটি। তারা বিশ্বমানের দল। এমন উঁচুমানের ফুটবল তারা খেলে, যার ফলে আমাদেরও বেশ উঁচু মানের ফুটবলই খেলতে হবে।’

প্রতিপক্ষ ইউরোপীয়, যাদের বিপক্ষে আবার শেষ তিন বছরে ব্রাজিল খেলেনি একবারও। ২০১৯ সালের মার্চে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল দলটি। এরপর থেকে কোনো ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে খেলা হয়নি তিতের দলের। তবে কোচ তিতে একে খুব একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন না। বললেন, ‘বিশ্বকাপের আট মাস আগে আমি যা আপনাকে বলতে পারি তা হলো, এখনো প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় পড়ে আছে।’

এনইউ/এটি