নেই-নেই করতে করতেই এবার পর্দা উঠেছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। গত ২১ জানুয়ারি মাঠের ক্রিকেট শুরুর আগে বেশ রঙ হারায় এবারের বিপিএল। নেই ডিআরএস, নেই ভালো মানের বিদেশি আম্পায়ার, নেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ধারাভাষ্যকার আর গ্যালারিতে নেই দর্শক। প্রোডাকশনের মান সেই আগের মতোই গড়পড়তা! নেই-নেই করেই শেষ হওয়ার পথে বিপিএল। তবে ডিআরএস নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আশা দিয়েছিল, পাওয়া যাবে শেষদিকে। সেটাও আর পাচ্ছে না বিসিবি।

টিকিট ইস্যুতে বিসিবির ‘আই ওয়াশ’ হতাশ করেছে সমর্থক। ফাইনালসহ বাকি থাকা ৪টি ম্যাচ হবে ৩ দিনে। এই ৩ দিন গ্যালারিতে ৩ হাজার দর্শক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেই টিকিট পৌঁছাবে না সাধারণ সমর্থকদের হাতে। প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি ৩০০টি করে টিকিট পাবে, যা বিক্রি হবে না বাইরে। এমনকি বিসিবিও বাইরে কোনো টিকিট বিক্রি করবে না। সঙ্গে বিপিএলের শেষ ভাগে ডিআরএস রাখার যে কথা দিয়েছিল বিসিবি, লোকবল না থাকার দোহাই দিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে ডিআরএস ফেরাতে পাচ্ছে না।

আজ (রোববার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘ইকুইপমেন্ট গুলো চলে এসেছে। ডিআরএস পরিচালনার জন্য যে যে ইকুইপমেন্ট দরকার সেগুলো অলরেডি বাংলাদেশে চলে এসেছে কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে সেই ইকুইপমেন্ট গুলো পরিচালনার মানুষগুলো এখনো এসে পৌঁছায়নি। তারা আসতে পারছে না।’

তবে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে ডিআরএস থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন টিটু, ‘আমরা আশা করেছিলাম বিপিএলের এই রাউন্ড থেকে হয়তো পাব। তবে সেটা মনে হয় হচ্ছে না। কিন্তু আফগানিস্তান সিরিজে ডিআরএস থাকবে এটা কনফার্ম করা হয়েছে। বিপিএলে মনে হয় আর ডিআরএস ইমপ্লেসমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।’

গত ২১ জানুয়ারি বিপিএল শুরু হয় ঢাকা পর্ব দিয়ে। যেখানে ৮ ম্যাচে কোনো ডিআরএস ছিল না। এরপর চট্টগ্রাম পর্বে স্লো-মোশন ক্যামেরার মাধ্যমে ‘ডিআরএস’ প্রক্রিয়ায় খেলা পরিচালনা করে বিসিবি। এনিয়ে আরো বেশি সমালোচিত হতে হয় বোর্ডকে। সেই প্রক্রিয়ায় শেষ হবে এবারের বিপিএল।

টিআইএস/এটি/এনইউ