বিপিএল খেলতে এসে আক্ষেপ মঈনের
প্রথমবার ২০১৩ সালে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলেন মঈন আলি। ৯ বছর পর দ্বিতীয়বার খেলতে এসেছেন ফাফ ডু প্লেসি, ক্যামেরন ডেলপোর্টের সঙ্গে। টুর্নামেন্টের অর্ধেক শেষ হওয়ার পর জাতীয় দলের ব্যস্ততা কাটিয়ে বিপিএল খেলতে এসেছেন মঈন। এখন পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন মোটে এক ম্যাচে। এবার বিপিএল খেলতে এসে দর্শকবিহীন গ্যালারি দেখে মন পুড়েছে মঈনের।
সিলেটে অনুশীলনের ফাঁকে আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে মঈন বলছিলেন, ‘এটাই আক্ষেপ এখন। বাংলাদেশে সব সময়ই এসে স্টেডিয়াম ভরা গ্যালারি দেখেছি। দলের প্রতি প্রত্যেকের সমর্থন দেখেছি। স্টেডিয়ামের আবহও ছিল ভিন্ন। সেটা দেখতেও দারুণ ছিল। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এখন স্টেডিয়ামে দর্শক দেখতে পাওয়া কঠিন। আশা করছি পরবর্তী বছরগুলোতে যখন আসবো তখন পরিস্থিতির কিছুর উন্নতি দেখতে পারবো।’
বিজ্ঞাপন
মূলত করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি কারণে এবারের বিপিএলে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না মেলায় দর্শক প্রবেশের ভাবনা থেকে সরে এসেছে বিসিবি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে আসা মঈনের এই একটা বিষয় নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও প্রশংসায় ভাসিয়েন বিপিএলকে। জানিয়েছেন, ক্রমশ মান বাড়ছে বিপিএলের।
মঈন বলেন, ‘আমার চোখে ১১ বছর আগের থেকে এখন বিপিএলে অনেক পেশাদারিত্ব এসেছে। ভালো দল গঠন হচ্ছে। মানসম্মত আয়োজন হচ্ছে। এটা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দরকার। টুর্নামেন্টের মান বেড়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটাররা পারফর্ম করছে। পাশাপাশি ভালোমানের বিদেশিও আসছে। আশা করছি দিন যত যাবে টুর্নামেন্টের মান আর বৃদ্ধি পাবে।’
যোগ করেন মঈন, ‘ভালোমানের স্পিনার আছে। ভালোমানের ব্যাটসম্যান আছে। বিদেশি যারা আছে প্রত্যেকে পারফর্মার। এজন্য পারফর্ম করা সহজ নয়, কঠিন। আমি মনে করি অন্যান্য জায়গার তুলনায় বাংলাদেশে পারফর্ম করা সবচেয়ে কঠিন। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য। তবে আপনি এখানে পারফর্ম করলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আপনি এরপর সবখানে খেলতে পারবেন। ঠিক এই কারণেই আমি বাংলাদেশে আসতে পছন্দ করি, নিজের খেলার মান উন্নতি করার চেষ্টা করি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি।’
টিআইএস/এটি