এবারের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দল পেলেও শুরুর দিকে একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না দুই বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা আর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। মেহেদী নাম লিখিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল ফরচুন বরিশালে, মৃত্যুঞ্জয়কে দলে টেনেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নিজেদের শেষ ম্যাচ বরিশাল ও চট্টগ্রাম- মেহেদী আর মৃত্যুঞ্জয়কে একাদশে সুযোগ দেয়। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন দুই জন।

রোববার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৭ রানে জয় তুলে নেয় বরিশাল। এ ম্যাচে বল হাতে দাপট দেখান মেহেদী। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তার বোলিংয়ে তোপেই বিধ্বস্ত খুলনা। পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরার ট্রফি হাতে তোলেন মেহেদী। পরে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরকে আদর্শ মানেন তিনি।

মেহেদী বলছিলেন, ‘কিন্তু আইডল মানি মোহাম্মদ আমিরকে। লক্ষ্য একটাই থাকে- সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়া। প্রতি টুর্নামেন্টেই আমার এই লক্ষ্য থাকে। এই টুর্নামেন্টেও একই লক্ষ্য থাকবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

দিনের অপর ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম। দলের পঞ্চম ম্যাচে এসে একাদশে জায়গা মেলে মৃত্যুঞ্জয়ের। এরপর তো রীতিমতো ইতিহাস গড়লেন তিনি। এনামুক হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেনের পর ফেরান রবি বোপারাকে। টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন এই বাঁহাতি পেসার। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে তার অনবদ্য পারফরম্যান্সে ১৬ রানে ম্যাচ জেতে চট্টগ্রাম। বিপিএল অভিষেকে হ্যাটট্রিকের সঙ্গে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএল হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন মৃত্যুঞ্জয়।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আইডল মানেন জানিয়ে বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে মাশরাফি ভাইকে খুব ভালো লাগে। তিনি এখনও এই বয়সে যেই ডেডিকেশন দেখাচ্ছেন, আমরা নিজেরাই এতো ডেডিকেশন দিতে পারবো কি-না এ নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। তার ডেডিকেশন, তার খেলার প্রতি আগ্রহ, তার সাপোর্টিং মনোভাব আমাকে খুব অনুপ্রেরণা দেয়।’

সঙ্গে যোগ করেন মৃত্যুঞ্জয়, ‘আমিও ইনজুরিতে ছিলাম। তাকে দেখেই অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের বাংলাদেশের পেস বোলার অনেকেই তাকে দেখে অনুপ্রেরণা পায়। তো তিনি আমার একজন আইডল বলা যায়।’

প্রসঙ্গত, বিপিএলের এবারের মৌসুমে প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন মৃত্যুঞ্জয়। সব মিলিয়ে বিপিএলে মোহাম্মদ সামি, আল-আমিন হোসেন, আলিস আল ইসলাম, ওয়াহাব রিয়াজ, আন্দ্রে রাসেল পর নাম তুলেছেন তালিকায়। সঙ্গে পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করলেন এই অর্জন।

টিআইএস/এনইউ