গত শুক্রবারই নিজের ২৩ বছরের দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন কিংবদন্তি ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। তার এই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অবশ্য বিতর্কের কালিমাও আছে। প্রতিপক্ষকে গাল দিয়েছেন, সতীর্থকে চড় মেরেছেন। কী করেননি তিনি!

তবে তার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়, ২০০৮ সালে। সেবার সিডনি টেস্টে অ্যান্ড্রু সাইনমন্ডসের সঙ্গে ‘মাঙ্কিগেট’ কাণ্ড করে বসেন তিনি। এ নিয়ে অবসরের পরই মুখ খুললেন তিনি।

সিডনিতে সে ম্যাচ চলাকালেই ভারতীয় স্পিনারের বিরুদ্ধে সাইমন্ডসকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ আনেন তৎকালীন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তার অভিযোগ ছিল, সাইমন্ডসকে বানর বলেছিলেন হরভজন। এরপর বিতর্কেই থেমে থাকেনি বিষয়টি, গড়িয়েছিল কোর্ট পর্যন্ত!

ঘটনাটির পর থেকে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়ে তেমন কোনো কথাই বলেননি হরভজন। তবে অবসর নেওয়ার পরই এ বিষয়ে নিজের দিকটা সামনে আনলেন তিনি।

গোটা বিষয়টাকে ভাজ্জি দেখছেন ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে। শুধু এখানেই থামলেন না। সে ঘটনাকে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় বলেও দাবি করেন হরভজন।

অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গোটা বিষয়টা একেবারেই কাম্য ছিল না। ওইদিন সিডনিতে যা হয়েছিল এবং তার পরিণামে যা যা ঘটেছিল, তা কখনও হওয়া উচিতই ছিল না। গোটা বিষয়টাই অযথাই হয়ে গিয়েছিল।’

তবে সেদিন কে কী বলেছিলেন, তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানাননি তিনি। বললেন, ‘তবে কে কি বলেছে, সেটা ভুলে যাও। সত্যের যে সবসময় দুই ভিন্ন দিক থাকে, তা আমরা সকলেই জানি। আমার সত্যিটা জানার কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আমি এই বিষয়ে কোনোদিন খুব বেশি কিছু বলিনি।’

পুরো বিষয়টা উঠে আসবে আত্মজীবনীতে, বলে নিজের ক্যারিয়ার, জীবনবৃত্তান্তমূলক প্রকাশনার আভাসও দিয়ে রাখলেন হরভজন। বললেন, ‘আমার আত্মজীবনীর মাধ্যমে লোকেরা এই বিষয়ে অবগত হবে। আমাকে যেসব জিনিসের সম্মুখীন হতে হয়েছিল, তার মুখোমুখি যেন আর কাউকে না হতে হয়।’

এনইউ/এটি