সিরিজ শুরুর আরও বাকি চার দিন। দুই দল এখন ব্যস্ত শেষ সময়ের অনুশীলনে। তবে সিরিজ শুরুতে অনেক সময় বাকি থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনই বাড়তি সমীহ করছে ভারতীয় পেস আক্রমণকে। অধিনায়ক ডিন এলগার জানিয়েছেন, দলের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারেন ভারতীয় পেসাররা; বিশেষ করে জানালেন যশপ্রীত বুমরাহর নাম।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এলগার জানিয়েছেন, মেঘলা আবহাওয়ায় পিচ থেকে শুরুতেই সাহায্য পাবেন পেসাররা। অবশ্য ব্যাটাররাও টেম্পারামেন্ট ধরে রাখতে পারলে পাবেন সাফল্য, জানালেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

তবে নিজেদের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে তো বটেই, গুণমান বিচারেও ভারতীয় পেস বিভাগকে সমীহ করছেন তিনি। তবে তার মধ্য থেকে এলগারদের সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়িয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। প্রোটিয়া অধিনায়কের কথা, ‘ভারতীয় পেস বিভাগে বুমরাহ আমাদের আতঙ্কের কারণ হতে পারে। পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে ওর।’

তবে সেজন্যে অবশ্য বুমরাহকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা করছে না দলটি। জানালেন ভারতীয় পেস আক্রমণকে সামলানোর জন্য সামষ্টিকভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাগতিকরা।

এলগারের ভাষ্য, ‘কোনো একজনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে না। দল হিসেবে ভারতীয় বোলিং বিভাগের বিরুদ্ধে তৈরি হতে চাই। শেষ কয়েকটি সফরে ভারতের পেস বিভাগ দারুণ বল করেছে। তবে আমরাও নিজেদের শক্তি নিয়ে ভাবছি। বিপক্ষের দুর্বলতা অথবা শক্তি নিয়ে চিন্তা করতে চাই না।’

বাঁহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বরাবরই ভয়ঙ্কর রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এলগার নিজেও তো বাঁ-হাতি! আসছে সিরিজে সেই অশ্বিনকে খেলতে হবে তারও। তাকে নিয়ে অন্তত বাড়তি ভাবনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম স্পিনার অশ্বিন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ও তেমন সফল নয়। এছাড়া আগেও বলেছি, একজনকে নিয়ে বিশেষ কিছু চিন্তা করছি না।’

চোটের জন্য টেস্ট সিরিজ় থেকে ছিটকে গিয়েছেন অনরিখ নখিয়ে। তাঁকে না পাওয়ায় কতটা হতাশ অধিনায়ক? এলগারের উত্তর, ‘‘সীমিত শক্তি নিয়েই কী ভাবে ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারানো যায়, সেটাই এখন বড় পরীক্ষা।’

এনইউ