আগামী ২০ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আসন্ন আসর। সে হিসেবে আর এক মাসের মতো সময় বাকি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে বিপিএল মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা না থাকলেও সংক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ৩ ভেন্যুতে খেলা হওয়ার কথা থাকলেও ভেন্যু কমে হতে পারে দুইটি, কমে যেতে পারে দলও। পুরো বিষয়টি আছে আলোচনার পর্যায়ে। সবকিছু চূড়ান্ত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর।

মূলত বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড গেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় পড়েছে সফরকারীরা। এজন্য বিপিএলের আকাশেও শঙ্কার মেঘ। আজ (শনিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনআনুষ্ঠানিক সভা শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন, ‘বিপিএল কীভাবে করব? এটা আমরা ২১ তারিখ সিদ্ধান্ত নেব।’

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলন নেমেছিলেন। তবে আবার শুনতো হলো দুঃসংবাদ। আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার বন্দি জীবন কাটাতে হবে তাদের। সেটি বাড়বে কি না তার উপরই ঝুলছে বিপিএলের ভাগ্য।

পাপনের ব্যাখ্যা, ‘বিপিএলের দুটি ইস্যু আছে। এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, বিপিএলের সাথে তুলনা হয় না। আবার আফগানিস্তান যে আসবে ওটাও ওয়ানডে সুপার লিগ। এই দুই সিরিজের চেয়ে তাই বিপিএল গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, বিপিএলটা তাই গুরুত্বপূর্ণ।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘কীভাবে করব বিপিএল? কতটুক সময় পাব? আমরা যে পরিকল্পনা করেছি সে অনুযায়ী না-ও হতে পারে। কাটছাঁট করা লাগতে পারে। এমন হতে পারে- যারা ওখানে আছে ওদের বাদ দিয়ে বিপিএল চালু হয়ে যাবে। নিউজিল্যান্ড থেকে আসার পর ২-৪ দিনের বিরতি দেওয়া হবে। তারা পরে যোগ দিবে এবং পুরো পারিশ্রমিক পাবে। আর্থিক কোনো ক্ষতি হলে বোর্ড তা পরিশোধ করবে। এটা করব বলিনি, তবে এমন সুযোগ আছে।’

দল আর ভেন্যু কমার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে পাপন বলেন, ‘৩টা ভেন্যুর জন্য ৬ দিন ভ্রমণ করতে হবে। একটা ভেন্যু কমালে আমরা ২ দিন বাঁচাতে পারি। ৬টির জায়গায় ৫টি দল করলে আমরা ৪-৫ দিন সময় পাই। এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ২১ তারিখ সিদ্ধান্ত জানার পর জানাতে পারব।’

টিআইএস/এমএইচ/এটি