বাংলাদেশের প্রতিশোধের আগুন নিভিয়ে দিচ্ছে জাওয়াদ
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দেশে ফিরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার। এরপর চট্টগ্রামে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট হার বাংলাদেশ দলের। ঢাকা ফিরে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবকিছু ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিভিয়ে দিচ্ছে টাইগারদের প্রতিশোধের আগুন।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বললেন, ‘চট্টগ্রামে হারার পরও মিরপুরে অনুশীলন, মিটিং, শারীরিক ভাষা সবই ইতিবাচক। চট্টগ্রামের প্রতিশোধ এখানে থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে, শুরুও ভালো করতে পারিনি। তবে ছেলেরা ভালো অবস্থায় আছে। তাদের চলাফেরা ইতিবাচক।’
বিজ্ঞাপন
মূলত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। শনিবার সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে, যা অব্যাহত আছে রোববারও। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার ঢাকা টেস্টে। ম্যাচের প্রথম দিনে শনিবার চা বিরতির পর আর বল মাঠে গড়ায়নি। আজ দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত সময়েও শুরু করা যায়নি খেলা।
সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যাচ শুরুর সময় থাকলেও কয়েক দফার বৃষ্টিতে শেষপর্যন্ত বল মাঠে গড়ায় ১২টা ৫০ মিনিটে। দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ৩৮ বল। যেখানে ব্যাট হাতে ২৭ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে দিনের খেলা আর শুরু করার মতো অবস্থা না থাকায় বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মিজানুর বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পরও টেস্ট সিরিজে খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা আমরা ইতিবাচকতাই বেশি দেখেছি। বিশ্বকাপে সমালোচনার পর মানসিক যে অবস্থায় ছিল সেটা কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাঠে খেলোয়াড়দের তা কাটিয়ে উঠতে দেখেছি, উন্নতি দেখেছি।’
সঙ্গে যোগ করেন মিহানুর, ‘টেস্টেও অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। ভালো করার মানসিকতা ছিল। ড্র নয়, জয়ের জন্যই চট্টগ্রামে খেলতে এসেছিলাম। হয়ত কিছু ভালো পারফরম্যান্সও ছিল। ছোট ছোট কিছু জিনিস আমাদের হয়নি। মুমিনুল দুই ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। হয়ত একটা ইনিংসে সে ভালো করলেই ম্যাচটা ড্র হত। আমাদের মানসিকতা এখনও ইতিবাচক।’
টিআইএস