বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে সাকিব আল হাসান একজনই, সেটি নিয়ে দ্বিধা থাকার সুযোগ নেই। শনিবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সাকিবের বিকল্প এখনো তৈরি করতে পারেননি তারা। রোববার একই কথা শুনিয়েছেন এক বোর্ড পরিচালক। সাকিবের বিকল্প বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোনদিন আসবে কি না সেটি সময়ের ব্যাপার। তবে বর্তমানে যে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার অভাব পূরণীয় নয় সে বিষয়ে দ্বিমতের সুযোগ নেই।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেললেও আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে না যাওয়ার জন্য বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়েছেন সাকিব। একজন সাকিব না থাকলে তার বিকল্প হিসেবে দলে বাড়তি দুজন ক্রিকেটারের প্রয়োজন হয়। তবুও বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল মনে করছেন, সাকিব না থাকা দলে প্রভাব ফেলবে না।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাবুল বললেন, ‘এটা (না খেলা) যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা বোর্ডের ব্যাপার। এই বিষয়গুলো দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যরা তাদের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। কেউ যদি না যায় তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ এখানে নেই। সাকিব বা অন্য যারা ভালো ওরা গেলে দলের শক্তি বাড়ে। তারা না গেলে যারা আছে তাদের নিয়েই জেতার জন্য যাব।’ 

সঙ্গে যোগ করেন বাবুল, ‘শুরু থেকেই যদি অন্য মানসিকতা নিয়ে যাই তাহলে তো ভালো কিছু করার প্রশ্ন আসে না। আমি যখন এখানে এসেছি, তখন থেকেই সবাই ছেলেদের মোটিভেটেড করার চেষ্টা করছি। হয়ত লক্ষ্য করবেন, তাদের মাঠের চলাফেরা, শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি- হাসিখুশি, তারা চেষ্টা করছে- এটা ফুটে উঠছে। আমার চোখে ধরা পড়েছে তারা ভালো করছে।’

ঠাসা ক্রিকেটীয় সূচি। দম ফেলানোর ফুরসত নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে বন্দি জীবন। সাকিব ইস্যু ভুলে আপাতত যারা দলে আছেন, তাদের মানসিক অবসাদ কাটানোর দিকেই জোর দিচ্ছেন বাবুল।

বাবুল বলেন, ‘ছেলেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে কিছুটা মানসিক অবসাদে আছে। এটা কষ্টের ব্যাপার। এটা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাদের হাসিখুশি রাখাও কোচিং স্টাফের বড় দায়িত্ব। এটা পালন করার চেষ্টা করছি।’

টিআইএস/এটি