বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে ‘খল’ চরিত্র বনে গেছেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের যে দৈন্যতা, এজন্য অনেকেই প্রোটিয়া এই কোচকে কাঠগড়ায় তুলছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ভাবছে ভিন্নভাবে। ডমিঙ্গোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করেছে বিসিবি। যদিও গুঞ্জন রটেছে, বোর্ড-ডমিঙ্গোর সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না ইদানিং। সংবাদমাধ্যমে এসেছে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরই হতে পারে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার শেষ কাজ।

ডমিঙ্গো ইস্যুতে আজ (শনিবার) কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে শেষ পরিণতি জানতে আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন তিনি। মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান বিসিবি সভাপতি।

পাপন বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে ডমিঙ্গো আমাদের জানায় সে খুব ভালো একটা অফার পেয়েছে, চলে যেতে চায়। জানতে চাচ্ছিল আমরা চুক্তি বাড়াব কিনা। চুক্তি বাড়ালে সে থাকবে। চুক্তি না বাড়ালে থাকবে না, ঐ জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিবে। তখন যতটুকু সম্ভব খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে সিদ্ধান্তে আসলাম- এই সময়ের মধ্যে আমরা কোনো কোচ পাব না। যদি পাইও, বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে বা পরপরই নতুন কোচ আনা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘বেশিরভাগ কোচ যাদের পাচ্ছিলাম তারা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আসতে পারবে না। সব চিন্তা করে বোর্ড চিন্তা করল তার চুক্তি বাড়িয়ে নেওয়া হোক। ইতোমধ্যে বাড়িয়েও নিয়েছি।’

বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরেই কাঠগড়ায় ডমিঙ্গো। গুঞ্জন আছে তার সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মনোমালিন্যর প্রভাব পড়েছে বিশ্বমঞ্চে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের জন্য তদন্ত কমিটি হঠন করেছি বিসিবি। জানুয়ারিতে পাওয়া সেই কমিটির প্রতিবেদনের পরেই ভাগ্য চূড়ান্ত হবে ডমিঙ্গোর।

পাপনের ব্যাখ্যা, ‘তাকে নিয়ে চিন্তাভাবনা আগে যা ছিল তা-ই আছে। আমরা এখনও অপেক্ষা করছি রিপোর্টের জন্য। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের জন্যই তো আপনারা প্রশ্ন তুলছেন। বিশ্বকাপের আগের দুই সিরিজে কেউ এই প্রশ্নগুলো করেননি, কারণ দল ভালো করছিল।’

টিআইএস/এনইউ