বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন লিটন-মুশফিক
৬৯ রানে মধাহ্নভোজ থেকে ফিরে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করে এই সেশন থেকে লিটন-মুশফিক তুলেছেন ১০২ রান। দুজনের ১২২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৭১ রান। চা বিরতির পর লিটন ৬২ ও মুশফিক ৫৫ রানে আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন।
চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, টেস্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি মেলাবেন না! মূলত লিটন কুমার দাসের অফ ফর্মে তার পাশে দাঁড়াতে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি ব্যাট হাতে একাবারেই সুবিধা করতে পারছেন না লিটন। এজন্য বাদ পড়েন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। তবে টেস্ট দলে ফিরেছেন লিটন। রঙিন পোশাকে নির্লিপ্ত হলেও এই ফরম্যাটের পারফরম্যান্স লিটনের হয়ে কথা বলছে।
বিজ্ঞাপন
অধিনায়কের আস্থার মান রেখেছেন লিটন। চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে যেখন দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা, তখন উইকেটে এসে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন। তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০তম অর্ধশতক। কম যাননি মুশফিকও, একই পথে হাঁটেন তিনি। হাসান আলীকে ব্যাক টু ব্যাক চার মেরে পঞ্চাশ উদযাপন করেন মিস্টার ডিপেন্ডবল।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারে হাসান আলির প্রথম ৪টি বল সমীহ করেন লিটন। পাঁচ নম্বর বলটি ফুলার লেন্থে পেয়ে সপাটে চলিয়ে বাউন্ডারি আদায় করেন নেন। যদিও সেই আগ্রাসী মনোভাব স্থায়ী করেননি। খেলেন সফরকারী বোলারদের মান বিচার করে। মুশফিকও ব্যাট করেন টেস্ট মেজাজেই।
নোমান আলীর করা ইনিংসের ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লটে পেয়ে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে নেন লিটন। ছুয়ে ফেলেন ব্যক্তিগত ফিফটির কোটা। তবে মালফল স্পর্শ করলেও কোন উদযাপন করেননি লিটন। এমনকি সতীর্থদের উদ্দেশে ব্যাট উঁচু করে অভিনন্দনের জবাব দিতে দেখা গেল না। ৯৫ বল খেলে এই ফিফটির স্বাদ পান লিটন। যেখানে ৪টি চারের সঙ্গে ছয় মারেন ১টি।
খানিক পর একই পথে হাঁটেন মুশফিকুর রহিম। তার অর্ধশতক আসে ১০৮ বলে। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে পাকিস্তানি পেসারে হাসান আলীকে পরপর ২টি চার মেরে ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। এই মাইলফলক ছুয়েছেন ৮টি চারের মারে। দুজনের ব্যাটিং প্রদর্শনী অব্যহর থাকল পুরো সেশন জুড়ে। এই সেশন ৩১ ওভার ব্যাট করেও কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ দল। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৭১ রান।
টিআইএস/এমএইচ