পাকিস্তানের কাছে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে শুরু। এরপর নিউজিল্যান্ডের কাছেও বড় ব্যবধানে হার। বিশ্বকাপ থেকে অকালে বিদায়টা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ভারতের। এরপর গতকাল রোববার আফগানিস্তান শেষ লিগ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় বিরাট কোহলির ভারতের। ফলে আজ সোমবারে ভারত বনাম নামিবিয়া ম্যাচ একেবারেই গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এতটাই যে এ ম্যাচের জন্য অনুশীলনও করতে যায়নি ভারতীয় দল।

ভারতীয় জাতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ ভারতের অকাল বিদায়ের কারণ হিসেবে দুটো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। তার মনে হচ্ছে, দুই কারণই দলকে ২০১২ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগেই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে কোহলির দলের। 

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসেবেই ধরা হয়েছিল বিরাট বাহিনীকে। সেই ভারতই কিনা খেলতে পারল না সেমিফাইনালেই! ভরত অরুণের দুই কারণের একটি হচ্ছে টানা বায়ো বাবলে থাকার অবসাদ। তার মতে ইংল্যান্ড সিরিজ, আইপিএল খেলার পরে বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে ভারতকে। ফলে টানা বায়ো বাবলে থেকেছেন কোহলিরা। 

যশপ্রীত বুমরাহ অবশ্য দিন দুয়েক আগেই তুলে ধরেছিলেন বিষয়টা। বুমরাহ সেই সময় বলেছিলেন, ‘ছয় মাস টানা সফর করা মোটেও সহজ কাজ নয়। ক্রিকেটাররা বাড়ি যেতে পারেননি।’ 

এবার ভরতের কণ্ঠেও ঝরে পড়ল সেই সুর, ‘ছয় মাস ধরে ওরা বায়ো বাবলে রয়েছে। এটা শারীরিক এবং মানসিকভাবে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই আমি মনে করি আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মধ্যে একটা ছোট বিরতি থাকলে আমাদের ছেলেদের সুবিধা হতো।’

ভরতের চোখে আরও একটা কারণ হচ্ছে টসভাগ্য। ভারতীয় বোলিং কোচের ভাষ্য, ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে টস। আমি মনে করি এই ধরনের টুর্নামেন্টে টসের এতটা গুরুত্বের কোন জায়গা নেই। এখানে টস একটু বেশিই সুবিধা দিয়েছে দলগুলোকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এইরকম সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এটা হওয়া কখনও কাম্য নয়।’

এনইউ