মালিক-ঝড়ে পাকিস্তানের রানের পাহাড়
শোয়েব মালিক পাকিস্তান দল তো বটেই, বিশ্বকাপেরই সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তাকে অধিনায়ক বাবর আজম প্রায়ই আখ্যা দেন ম্যাচ উইনার বলে। তারই যেন একটা নমুনা মিলল আজ। শেষে তাণ্ডব চালালেন স্কটিশ বোলারদের ওপর, তুলে নিলেন চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটিটাও। তাতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ১৮৯ রানের পাহাড় গড়েছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
অথচ শুরুর দশটা ওভারে মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানকে বুঝি অল্পেতেই বেধে রাখবে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে হারানো স্কটল্যান্ড। পাওয়ারপ্লেতে দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ে রান তুলতে দেয়নি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ছয় ওভারে দলটা তুলেছে মাত্র ৩৫ রান।
বিজ্ঞাপন
সপ্তম ওভারে এসে রিজওয়ানকে সাজঘরে পাঠিয়ে স্কটিশদের সফলতা এনে দেন হামজা তাহির। এরপর ফখর জামান এলেন উইকেটে। ক্রমাগত ডট খেলে দলের ওপর চাপ বাড়ালেন, ফিরলেন দশম ওভারে, দলের রান যখন ৫৯। ইনিংসের মাঝামাঝিতে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে মাত্র জমা পড়ল ৬০ রান। টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা তখন ভুল বলেই মনে হচ্ছিল।
তবে শেষমেশ সে মনে হওয়া ভুলটাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেননি দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ আর মালিক। সঙ্গে যোগ্য সাহচর্য মিলেছে বাবরের কাছ থেকেও। শুরুর ধীরগতি ঝেড়ে ফেলে বাবর শেষমেশ থেমেছেন ৪৭ বলে ৬৬ রান নিয়ে। ওদিকে হাফিজ ১৯ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তানের রান রেটে দিয়েছিলেন গতি।
মালিক নেমে সেটাকেই নিয়ে গেছেন ষষ্ঠ গিয়ারে। ১৮ বলে করেছেন ৫৪, চার মেরেছেন মোটে একটা, আর ছক্কা ছয়টি। তাতে শেষ দশ ওভারে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে জমা করে ১২৯ রান, শেষ পাঁচ ওভারে সেটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য রূপই নিয়েছে। ওভারপ্রতি ১৫.৪০ গড়ে উঠেছে ৭৭ রান। ফলে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এক পা এগিয়েই থাকলেন বাবর আজমরা।
এনইউ