বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচনার বড় অংশজুড়ে এখন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার অধীনে বেশকিছু সাফল্য পাওয়ায় নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে ডমিঙ্গোর অধীনে বিশ্বকাপে ভরাডুবি টাইগারদের। এর সঙ্গে কানাঘুষা আছে দলে তার পক্ষপাতিত্ব আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে মনোমালিন্যর বিষয়টি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে।

পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এই মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে ভাবটা আর জমছে না বিসিবির। ডমিঙ্গোর দুই বছরের নতুন চুক্তির শর্তটি বেশ শক্ত। এক বছরের মধ্যে ছাড়তে গেলে বছরের বাকি দিনগুলোর পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। ক্ষতি হলেও দলকে পুনরায় ঢেলে সাজাতে সে পথেই হাঁটতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। ডমিঙ্গোকে সরিয়ে বোর্ডের ভাবনায় আবারও চন্ডিকা হাথুরুসিংয়ে। পাশাপাশি জেমি সিডন্সের সঙ্গে চলছে আলোচনা।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পেছনে হাথুরুসিংহের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাকে আবার প্রধান কোচ হিসেবে ফেরাতে চাইছে বিসিবি। তবে সহসাই পাওয়া যাচ্ছে না। আগের দায়িত্বের চু্ক্তির বাধ্যবাধকতায় আগামী অগাস্টের আগে নতুন কোনো দায়িত্ব নিতে পারবেন না হাথুরুসিংহে। সিডন্সকে দেওয়া হয়েছে ব্যাটিং কোচের প্রস্তাব। তাকে পেতে আগামী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিসিবি।

জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে সকল ক্ষমতা থাকছে খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে। জানা গেছে, সাবেক এই অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাওয়ার হিটিং কোচ খুঁজে বের করার জন্য। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং দুর্বলতা স্পষ্ট। দলে পাওয়ার হিটারের অভাব। এই দুর্বলতা কাটতে পাওয়ার হিটিং কোচ নেওয়ার সিদ্ধান্ত বোর্ডের। টি-টোয়েন্টিতে নিজে সে রকম ব্যাটিং করেছেন, এমন কাউকে নেবে বিসিবি।

টিআইএস