৯২ মিনিটেই ৪.৪ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল গাপটিলের!
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিল রীতিমতো রূদ্রমূর্তিই ধারণ করে বসেছিলেন। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে খেলেছেন ৫৬ বলে ৯৩ রানের এক ইনিংস। তাতেই নিউজিল্যান্ড স্কটিশদের বিপক্ষে পেয়ে যায় লড়াইয়ের রসদ। দলের জয়ের পর ম্যাচসেরাও বনেছেন সেই গাপটিল। তবে এবার তিনি জানালেন চমকপ্রদ এক তথ্য। সেই ইনিংস খেলতে গিয়ে দেড় ঘণ্টাতেই গাপটিল নাকি হারিয়েছিলেন ৪.৪ কেজি ওজন!
গাপটিলের কথা, ‘মাঠ থেকে আসার পরে দেখি, আমার ওজন ৪.৪ কেজি কমে গেছে। তা দেখে শিগগিরই আমার হাইড্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।’ সেই ইনিংস খেলে স্বদেশি সংবাদ মাধ্যম টিভি নিউজিল্যান্ডের ব্রেকফাস্ট শো নামক এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘বেশ গরমের মধ্যে খেলতে হয়েছিল। ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি। একটা বিশ্রামের দিন পাচ্ছি বলে স্বস্তি।’
বিজ্ঞাপন
বিরাট কোহলির পরে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিন হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন গাপটিল। সেদিনই প্রথম ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০টি ছক্কা হাঁকানোর কৃতিত্বও অর্জন করেন তিনি।
তবে কেবল ছক্কা হাঁকিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি। দলের প্রয়োজনে বেশ কিছু দুই রানও নিতে হচ্ছিল, যার ফলে আমিরাতের গরমে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ছিল তার জন্য। গাপটিলের কথা, ‘ইনিংসের শেষের দিকে এক দিকে যেমন ব্যাট চালাতে হয়, তেমনই জোরে দৌড়োতেও হয় যেন এক রানকে দু’রানে পরিণত করা যায়। তাই কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।’ দুবাইয়ের এমন গরম আর আর্দ্রতার সঙ্গে লড়াই করে দেড় ঘণ্টার মতো সময় ব্যাট করেন কিউই ওপেনার। ইনিংসের উনিশতম ওভারে গিয়ে তিনি আউট হন। তার ঝোড়ো ব্যাটিংই মূলত পার্থক্য গড়ে দেয়।
তবে এমন ব্যাটিংয়ের পর ক্লান্ত গাপটিল পুরো সময় ফিল্ডিং করতে পারেননি। ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলেই এমনটা করতে হয়েছিল তাকে। গাপটিলের ভাষ্য, ‘গরমে কষ্ট হচ্ছিল খুবই। ফিল্ডিংয়ের মাঝপথে আমাকে বেরিয়ে আসতে হল। আমি এর চেয়েও গরমে হয়তো খেলেছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাজটা অনেক কঠিন কারণ প্রত্যেক বলে দৌড়তে হচ্ছে, বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করতে হচ্ছে।’
গাপটিলের কাজটা অবশ্য শেষ নয় এখানেই। দল আছে সেমিফাইনালের দৌড়ে। সে সম্ভাবনা আরও জোরালো করতে আজ বিকেলে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে তার দল নিউজিল্যান্ড। আমিরাতের কড়া গরমে আবারও নামতে হবে গাপটিলকে, আরও কেজি পাঁচেক ওজন কমানোর মানসিক প্রস্তুতিটা তাই নিয়ে রাখতেই পারেন কিউই ওপেনার।
এনইউ