বিশ্বকাপের শেষে এসে যেন বাংলাদেশ নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়েই নেমে পড়েছিল। তা নেতিবাচক অর্থে অবশ্যই। আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেছিল ৮৪ রান। আজ যে সেটাও করতে পারল না দল। শুরু থেকেই আত্মাহুতির মিছিল। তাতে দল আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুটিয়ে গেল ৭৩ রানেই।

ধসের শুরুটা সেই ইনিংসের গোড়া থেকেই। ইনিংসের তৃতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে প্লেড অন হয়ে ফেরেন লিটন, রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এরপর তার পথ ধরেন সৌম্য। তিনিও বিদায় নেন সেই প্লেড অনের ফাঁদে পড়েই। এর পরের ওভারে মুশফিকও বিদায় নেন ১ রানে। ১০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন রীতিমতো কাঁপছে। 

সেই যে কাঁপুনির শুরু, তা শেষ হলো না ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। নাঈম শেখ ওপেন করতে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন, পুরো বিশ্বকাপে যেমনটা করে এসেছেন। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনিও। ১৬ বলে ১৭ রান করে জশ হেইজেলউডের বলে অনেকটা ‘আত্মাহুতি’ দিয়েই বিদায় নেন তিনি। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন স্কয়ার লেগে। বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে শেষ করে এই চার উইকেট হারিয়ে।

পাওয়ারপ্লে শেষে আরও এক উইকেট হারায় দল। আফিফ হোসেন অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে খোঁচা মেরে ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। 

এরপর শামীম পাটোয়ারী আর মাহমুদউল্লাহ মিলে অবশ্য প্রতি আক্রমণে আশা জাগিয়েছিলেন বাংলাদেশের। তবে জ্যাম্পার বলে সে আশাও শেষ হয় দলের। জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন শামীম। পরের বলে শেখ মেহেদী হাসানও জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়েই উইকেট হারিয়ে বসেন। 

মাহমুদউল্লাহ এতক্ষণ ছিলেন। তবে তিনিও টিকলেন না আর বেশিক্ষণ। দলীয় ৬৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার মুখেও পড়ে যাচ্ছিল আরেকটু হলেও। তাসকিন আহমেদ আর মুস্তাফিজুর রহমানের কল্যাণে সে লজ্জা থেকে রক্ষা পায় দল। তবে এগোতে পারেনি বেশিক্ষণ। জ্যাম্পার শিকার হয়ে মুস্তাফিজ আর শরিফুল ফিরলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৭৩ রানেই।

এনইউ