পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে শুরু, এরপর নিউজিল্যান্ডের কাছেও শোচনীয়ভাবে হেরেছে ভারত। তাতে ভারতের বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাকি তিন ম্যাচে জিতলেও নিশ্চিন্ত থাকবে না কোহলির দল, তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড আর আফগানিস্তানের দিকেও। 

প্রথম ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পনের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারের কারণ কী? কোহলির চোখে সেটা হলো দলের দেহভাষ্য। শরীরীভাষাই নিউজিল্যান্ড থেকে আলাদা করে দিয়েছে তার দলকে। তিনি বললেন, ‘অদ্ভুত লাগছে। ব্যাট-বলের কোনো বিভাগেই আমরা সাহসী ছিলাম না। মাঠে নেমেই সাহসের অভাবটা চোখে পড়ছিল। নিউজিল্যান্ড এদিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল আমাদের চেয়ে। আমরা শুরু থেকেই চাপে ছিলাম। ব্যাট করেছি এমনভাবে, যেন আমাদের ওপর অনন্ত চাপ!’

অধিনায়ক কোহলির শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এমন ঘোষণা, সঙ্গে ভারতের ওপর বাড়তি প্রত্যাশার চাপই কি কাল হয়েছে দলের জন্য? কোহলি অবশ্য তা মানছেন না। 

ভারতীয় অধিনায়কের ভাষ্য, ‘ভারতের হয়ে খেলতে নামলে প্রত্যাশা থাকবেই। সমর্থকদের থেকে নয়, বাকি খেলোয়াড়দের থেকেও প্রত্যাশা থাকে। তাই যে ম্যাচেই আমরা নামি না কেন, এই চাপটা সামলাতেই হবে। ভারতের হয়ে খেলতে গেলে এই চাপের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হলে এই চাপ কাটিয়ে ওঠা যায়, যেটা আমরা গত দু’ম্যাচে করতে পারিনি। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছ আর প্রত্যাশার চাপ থাকবে এটা ভেবে অন্য রকম ভাবে খেলতে শুরু করলে চলবে না।’

দুই ম্যাচ হারের ফলে বিশ্বকাপের শেষ চার কঠিনই হয়ে পড়েছেন কোহলির দলের জন্য। তবে কোহলি দমছেন না একটুও। তার মতে, ভারতের আশা বেঁচে আছে এখনো। বললেন, ‘মনে হয় এখনও সব ঠিকই আছে। এখনও অনেক ক্রিকেট খেলা বাকি রয়েছে।’

এনইউ