ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি/ফাইল ছবি

পাকিস্তানের কাছে হেরে শুরু। এরপর বিরাট কোহলির ভারত হেরে বসেছে নিউজিল্যান্ডের কাছেও। ফলে দুই ম্যাচ খেলেও জয়হীন ভারত। সব মিলিয়ে টানা হারের রেকর্ডটা গিয়ে ঠেকল তিন ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এমন কিছু ভারত দেখেনি আর কখনো।

তবে বিরাট কোহলির দল আরও একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, যা আগে কখনো হজম করতে হয়নি। টানা দুই হারে যে এখন বিশ্বকাপের ‘গ্রুপ পর্বের’ বৈতরণীই পার করা নিয়ে টানাটানি লেগে গেছে ভারতের! সে লজ্জা এড়ানোর সুযোগটা অবশ্য একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি কোহলির দলের। জটিল সমীকরণে আশাটা ক্ষীণকায় হয়ে বেঁচে আছে দলটির। 

কী সেই সমীকরণ? ভারতের ম্যাচ বাকি আরও তিনটি। সেই তিন লড়াইয়ে কোহলিরা লড়বেন আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড আর নামিবিয়ার বিরুদ্ধে। তিনটে ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে ভারতকে।

শুধু নিজেদের ম্যাচে জিতলেই চলবে না ভারতের। অমঙ্গল কামনা করতে হবে অন্যদেরও। নিউজিল্যান্ডেরও ম্যাচ বাকি স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া আর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। যে কোনো একটা ম্যাচ হারতেই হবে কিউইদের। দলগুলোর শক্তিসামর্থ্য বিবেচনায় আফগানিস্তানকেই ধরা হচ্ছে সেই কঠিন প্রতিপক্ষ, যাদের বিপক্ষে হড়কাতে পারে নিউজিল্যান্ডের পা।

সাত নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচে যদি কেন উইলিয়ামসনের দল জিতে যায়, তাহলেই ‘কার্যত’ শেষ ভারতের আশা। কারণ বাকি দুই ম্যাচে নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দলটি। সেই দুই ম্যাচে শক্তিসামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা দলগুলোর কাছে হারবে ব্ল্যাকক্যাপরা, সেটা হয়তো পাঁড় ভারতভক্তও বিশ্বাস করবেন না!

আফগানদের অন্য ম্যাচটাও ভারতের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সে ম্যাচে কোহলির দল খোদ মুখোমুখি হবে আফগানদের। সে ম্যাচে হারাতেই হবে মোহাম্মদ নবীর দলকে, নাহয় শেষ বিশ্বকাপের আশা। সেটা হয়ে গেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজেদের প্রথম রাউন্ডেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে ভারতের।

এনইউ