ছবিটা যেন প্রতীকী, কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন ঠায় দাঁড়িয়ে, ভারতীয় অধিনায়ক ন্যুব্জমান। দৃশ্যটা তো নিউজিল্যান্ড আর ভারতেরও বর্তমান অবস্থা/গেটি ইমেজ

টসটা গুরুত্বপূর্ণ, আগের ম্যাচ শেষেই বলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। পাকিস্তানের কাছে হেরে কোণঠাসা ভারতের কাছে এ ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, অন্তত সমীকরণ এড়াতে চাইলে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ টসে হারল ভারত। তবে এরপর যা হলো, তাতে টসের গুরুত্বটা থাকল না আর। দল করল তথৈবচ ব্যাটিং, কম পুঁজি নিয়ে বোলাররাও লড়তে পারলেন না ভারতের। যার ফল, দ্বিতীয় ম্যাচেও অসহায় আত্মসমর্পণ। নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারত হারল ৮ উইকেটে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে হাসিটা হাসেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস জিতে নিউজিল্যান্ড ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটাকে ভুল প্রমাণ করতে দেননি কিউই বোলাররা। ঈশান কিষাণকে দিয়ে শুরু। বোল্টের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বিদায় নেন লোকেশ রাহুলও। 

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামতের দায়টা ছিল দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার রোহিত শর্মা আর কোহলির কাঁধে। কিন্তু সেটা তারা পারলেন কই? পাওয়ার প্লের কিছু পরেই ফেরেন রোহিত। দশ ওভার শেষ না হতে কোহলিও ধরেন তার পথ।

শীর্ষ চার ব্যাটারকে অল্পেতেই হারিয়ে ফেলার ধাক্কাটা দলটি সামলে উঠতে পারেনি আর। ঋষভ পান্ত আর হার্দিক পান্ডিয়া একটা চেষ্টা অবশ্য করেছিলেন। তবে সফল হননি। ১৫তম ওভারে বিদায় নেন পান্ত। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে পান্ডিয়া দলকে অন্তত শতরানের বৈতরণী পার করানোর লড়াইয়ে নামেন। 

তবে ১৯তম ওভারে যখন হার্দিক পান্ডিয়া আর শার্দুল ঠাকুর বিদায় নিলেন, তখন সে সম্ভাবনা ক্ষীণই হয়ে ছিল ভারতের জন্য। তবে শেষ দিকে জাদেজার ১৯ বলে ২৬ রানের ইনিংসে সে শঙ্কা কাটিয়েছে দলটি। ইনিংস শেষ হয়েছে সাত উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তুলে। তাতে জয়ের জন্য কিউইদের সামনে লক্ষ্যটা পড়ে ১১১ রানের।

ছোট পুঁজি সামলে জিততে হলে শুরুতে উইকেট তো চাই-ই, সঙ্গে চাই মিতব্যয়ী বোলিংও। কিন্তু ভারত তা পারল কই? ড্যারিল মিচেল আর মার্টিন গাপটিল শুরু থেকেই চড়াও হলেন ভারতের ওপর। গাপটিলকে তাও অল্পেতে থামাতে পেরেছিল কোহলির দল, কিন্তু মিচেলকে আর রুখতে পারেনি। পারল যখন, তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। ৩৫ বলে ফিফটির এক রান দূরে থেকে যখন যশপ্রীত বুমরাহও বলে ফিরলেন তিনি, তখন দলের স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ৯৬ রান, ওভার শেষ হয়েছে মোটে ১৩টি। এরপর আর নাটুকে কিছু করতে পারেনি ভারত। যার ফলে ম্যাচটা শেষ করেছে টানা দ্বিতীয় হার দিয়ে। 

এর ফলে বিশ্বকাপে টিকে থাকা নিয়েই টানাটানি লেগে গেছে ভারতের। চলে গেছে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। সেমিফাইনালে যেতে হলে এখন শুধু নিজেদেরই জিতলে হবে না, অমঙ্গল কামনা করতে হবে অন্যদেরও।

এনইউ